শুক্রবার, ২০ জুন, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০২৫, ০৭:১২ পিএম

সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের আমানত বেড়েছে ৩৩ গুন

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০২৫, ০৭:১২ পিএম

ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

২০২৪ সালে রাজনৈতিক অস্থিরতা, ছাত্র-জনতার আন্দোলন এবং সরকারবিরোধী উত্তাল পরিবেশের মধ্যেও সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের আমানত ৩৩ গুণ বেড়েছে।

সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের (এসএনবি) বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

২০২৪ সালের শেষ দিনে (৩১ ডিসেম্বর) হিসাব অনুযায়ী, সুইস ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশিদের আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৮ কোটি ৯৫ লাখ সুইস ফ্রাঁ। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৮ হাজার ৮৩৪ কোটি টাকা (প্রতি ফ্রাঁ ১৪৯ টাকা ৬৯ পয়সা ধরে)।

২০২৩ সালে এই পরিমাণ ছিল মাত্র ১ কোটি ৭৭ লাখ সুইস ফ্রাঁ বা প্রায় ২৬৪ কোটি টাকা। ফলে এক বছরের ব্যবধানে আমানত বেড়েছে প্রায় ৩৩ গুণ- অর্থমূল্যে প্রায় ৮ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা।

সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত এক যুগ ধরে তারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ব্যাংকগুলোর দায় ও সম্পদের তথ্য প্রকাশ করে আসছে। তবে নির্দিষ্ট কোনো গ্রাহকের তথ্য প্রকাশ করা হয় না।

২০২১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশিদের আমানত বেড়ে ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৮৭ কোটি ১১ লাখ সুইস ফ্রাঁতে পৌঁছায়। পরে দুই বছরে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা তুলেই তা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়। কিন্তু ২০২৪ সালে হঠাৎ এই অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণ নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

বিশ্লেষকদের ধারণা, বর্তমান সরকারের (শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন) বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলন এবং ক্ষমতা হারানোর শঙ্কায় অনেকেই নিরাপদে অর্থ সরিয়ে নিতে শুরু করেছেন। ফলে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের আমানতের এই উল্লম্ফন ঘটেছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, কোনো বাংলাদেশি নাগরিক যদি পরিচয় গোপন রেখে অর্থ জমা রাখেন কিংবা স্বর্ণ বা মূল্যবান সম্পদ সংরক্ষণ করেন, তবে সেসব তথ্য এই হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হয়নি।

বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকিং গোপনীয়তা কমতে থাকায়, এখন অনেক ধনাঢ্য ব্যক্তি অবৈধ অর্থ গচ্ছিত রাখতে লুক্সেমবার্গ, কেম্যান আইল্যান্ড, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড কিংবা বারমুডার মতো ট্যাক্স হ্যাভেনে ঝুঁকছেন।

Link copied!