মঙ্গলবার, ২৪ জুন, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০২৫, ০৪:৩৩ এএম

প্রধান উপদেষ্টা ও দুদককে উকিল নোটিশ পাঠালেন টিউলিপ সিদ্দিক

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০২৫, ০৪:৩৩ এএম

ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও টিউলিপ সিদ্দিক। ছবি- সংগৃহীত

ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও টিউলিপ সিদ্দিক। ছবি- সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রতিমন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, ড. ইউনূস ও দুদক তার সুনাম নষ্ট করতে এবং ব্রিটিশ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করে একটি পরিকল্পিত প্রচারণা চালাচ্ছেন। বিষয়টি স্কাইনিউজ জানিয়েছে।

উকিল নোটিশে টিউলিপ দাবি করেছেন, ‘ড. ইউনূস ও দুদকের মূল উদ্দেশ্য তার সুনাম ক্ষুণ্ণ করা এবং যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করা, বিশেষ করে তার নির্বাচনী এলাকা, রাজনৈতিক দল ও দেশসেবার কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি করা। যা গ্রহণযোগ্য নয়।’

যুক্তরাজ্যভিত্তিক আইনি প্রতিষ্ঠান স্টেফেনসন হারউড এলএলপি মাধ্যমে পাঠানো ওই নোটিশে বলা হয়েছে, টিউলিপ গত ১৮ মার্চ ও ১৫ এপ্রিল দুদক চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। এছাড়া ৪ জুন ড. ইউনূসকে একটি চিঠি দেয়া হয়। তবে এখনও তাদের কোনো জবাব পাননি।

নোটিশে আইনি প্রতিষ্ঠান দাবি করেছে, ‘টিউলিপ সিদ্দিক একটি পরিকল্পিত অভিযানের শিকার, যার পেছনে রয়েছে প্রধান উপদেষ্টা ও দুদক। আমরা আগের চিঠিপত্রে প্রমাণ দিয়েছি, টিউলিপের বিরুদ্ধে ওঠা প্রতিটি অভিযোগ মিথ্যা।’

ড. ইউনূসের লন্ডন সফরের সময় টিউলিপ তার সঙ্গে সাক্ষাতের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। নোটিশে বলা হয়েছে, ‘দুঃখজনকভাবে প্রধান উপদেষ্টা টিউলিপের এই প্রস্তাব গ্রহণ করেননি।’

বিবিসির সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস সাক্ষাত না করার কারণ হিসেবে আইনি প্রক্রিয়ার কথা উল্লেখ করেন। এ বিষয়ে স্টেফেনসন হারউড বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার অবস্থান বিস্ময়ের। তিনি বলেন, এটি একটি আইনি প্রক্রিয়া এবং তিনি এতে হস্তক্ষেপ করতে চান না।’

নোটিশে আরও বলা হয়েছে, ‘যখন দুদকের পক্ষ থেকে তদন্ত চলছে বলে দাবি করা হচ্ছে, তখন টিউলিপের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সমালোচনা করা সমীচীন নয়। আশা করা যেত, প্রধান উপদেষ্টা অভিযোগের আগে সঠিক তথ্য যাচাই করতেন।’

আইনি প্রতিষ্ঠান মনে করছে, প্রধান উপদেষ্টার টিউলিপের সঙ্গে বসার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের দুটি কারণ থাকতে পারে: প্রথমত, টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা এবং দ্বিতীয়ত, আলোচনায় আসতে না চাওয়া।

নোটিশে দুদক চেয়ারম্যানকে পাঠানো চিঠির একটি অনুলিপি প্রধান উপদেষ্টাকেও প্রেরণের কথা উল্লেখ রয়েছে। টিউলিপ বলেছেন, ‘এখন প্রধান উপদেষ্টা ও দুদকের মিথ্যা প্রচারণা থেকে সরে দাঁড়ানোর সময় এসেছে।’

স্টেফেনসন হারউড জানাচ্ছে, ‘৩০ জুনের মধ্যে চিঠির যথাযথ জবাব না পেলে, টিউলিপ সিদ্দিক বিষয়টি সমাপ্ত বলে গণ্য করবেন।’

Link copied!