কুমিল্লার মুরাদনগরের একটি গ্রামে বসতঘরের দরজা ভেঙে সংঘটিত ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর নিরাপত্তা ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে, ওই নারীর নির্যাতনের ভিডিও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে অপসারণ করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রোববার (২৯ জুন) এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের এবং বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুর এর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতের নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়- ভুক্তভোগী নারীর শারীরিক ও মানসিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা প্রদান করতে হবে, ছাড়াও নির্যাতনের ভিডিও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম থেকে সরাতে হবে।
এরে আগে বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাতে কুমিল্লার মুরাদনগরে এক নারীকে ঘরের মধ্যে বিবস্ত্র করে মারধরের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার ৫১ সেকেন্ডের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
পরে এ ঘটনায় ভুক্তোভুগী ওই নারী শুক্রবার (২৭ জুন) মুরাদনগর থানায় ধর্ষণের অভিযোগে ফজর আলীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
এ মামলা প্রসঙ্গে পুলিশ জানায়, অভিযোগ পাওয়ার পর থেকেই অভিযুক্তকে ধরতে অভিযান চলছে। ভুক্তভোগীর মেডিকেল পরীক্ষাও সম্পন্ন হয়েছে।
পুলিশের ভাষ্য, ভিডিও ভাইরাল হওয়ার আগ পর্যন্ত নারীকে বিবস্ত্র করে মারধরের বিষয়ে কেউ পুলিশকে জানায়নি। সামাজিক মাধ্যমে এমন ভিডিও ছড়ানো অপরাধ বলেও পুলিশ উল্লেখ করেছে। ভিডিও ছড়ানোর উৎস শনাক্তে কাজ চলছে।
এদিকে এ মামলয়য় মূল আসামিসহ ভিকটিমের ভিডিও ধারণ করে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে জড়িত মোট ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।