দেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালানো ১৬টি প্রতিষ্ঠানের ইজারা নবায়ন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। ফলে নতুন অর্থবছর ২০২৫-২৬ এর শুরু থেকেই এসব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
বেবিচক সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (৩০ জুন) মধ্যরাতে প্রতিষ্ঠানগুলোর ইজারার মেয়াদ শেষ হয়। এরপরই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশনা দেয়। রোববার ডাকযোগে চিঠি পাঠানো হয় এবং সোমবার নোটিশ জারি করা হয়।
বেবিচকের আদেশে বলা হয়েছে, বাতিল হওয়া ১৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৪টি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে, একটি চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে এবং একটি সৈয়দপুর বিমানবন্দরে কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল।
শাহজালাল বিমানবন্দরের তালিকায় রয়েছে- এরোস ট্রেডিং, সজল এন্টারপ্রাইজ, মাহবুবা ট্রেডার্স, নাহার কনস্ট্রাকশন, এভিয়েশন ট্রান্সপোর্ট লিমিটেড, এ ফাইভ রোডওয়ে লিমিটেড, ওয়ার্ল্ড ট্রাস্ট ট্যুরিস্ট কার সার্ভিসেস কোং, শিরিন এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স হাওলাদার অ্যান্ড সন্স, মেসার্স অথৈ এন্টারপ্রাইজ, ওলফ করপোরেশন, আড়িয়াল ক্রিয়েটিভ স্পেস, ধানসিঁড়ি কমিউনিকেশন ও ডিপার্টম্যান্ট এস কনসালটিং।
বাকি দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ফ্যালকন এজেন্সি এবং নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরের ফ্যালকন এয়ারপোর্ট সার্ভিস টিম।
বেবিচকের এক কর্মকর্তা বলেন, এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অর্থ ফাঁকি দেওয়া এবং আওয়ামী লীগের আমলে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নিয়মবহির্ভূতভাবে ইজারা নেওয়াসহ বেশকিছু অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মালিক পলাতক। সব মিলিয়ে এসব প্রতিষ্ঠানের চুক্তি নবায়ন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।