ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই, ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে পোস্ট দেওয়ায় চাকরিচ্যুত সেই ঊর্মি 

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ২, ২০২৫, ০৬:৪৪ পিএম
সাবেক সহকারী কমিশনার তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি। ছবি- সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘বিরূপ মন্তব্য’ করায় লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সাবেক সহকারী কমিশনার তাপসী তাবাসসুম ঊর্মিকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে সরকার।

বুধবার (২ জুলাই) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে জানানো হয়, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’-এর অভিযোগে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

এর আগে ২০২৪ সালের ৬ অক্টোবর তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে লিখেছিলেন, ‘‘সাংবিধানিক ভিত্তিহীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, রিসেট বাটনে পুশ করা হয়েছে। অতীত মুছে গেছে। রিসেট বাটনে ক্লিক করে দেশের সব অতীত ইতিহাস মুছে ফেলেছেন তিনি। এতই সহজ! কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে আপনার, মহাশয়। তবে একটা বিষয়ে আপনাকে ধন্যবাদ জানাতেই হয়—‘তুমি কে আমি কে? রাজাকার। রাজাকার।’ আপনাদের এ স্লোগানটা যে অক্ষরে অক্ষরে সত্য ছিল, এটা এত অল্প সময়ে দিনের আলোর মতো পরিষ্কার করে দিয়েছেন, এ জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।’’

ওই সময় একই সঙ্গে রংপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদ সম্পর্কেও একটি স্ট্যাটাস দেন তিনি। এ ঘটনার পরদিন তাকে ওএসডি করে এবং সাময়িক বরখাস্ত করে সরকার। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয় এবং আদালতেও মামলা চলমান রয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ৬ অক্টোবর ঊর্মি ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা মোতাবেক অসদাচরণের অভিযোগে বিভাগীয় মামলা দিয়ে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিলে তিনি নিরাপত্তার কারণে ব্যক্তিগত শুনানিতে অংশ না নিয়ে লিখিত জবাব দেন। তার জবাব গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়।

তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দ্বিতীয়বার কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়। সব নথিপত্র, জবাব এবং পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সরকারের পক্ষ থেকে তাকে চাকরিচ্যুতির গুরুদণ্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সরকারি কর্ম কমিশনও এ সিদ্ধান্তে একমত পোষণ করে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়।