সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ে কর্মরত গাড়িচালকরাও রাজধানীর ঝিলমিল আবাসন প্রকল্পে রাজউকের বিশেষ প্লট বরাদ্দ পেয়েছেন- দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এমন তথ্যই জানিয়েছে। শুধু পরিবারের সদস্যদের নয়, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে যুক্ত কর্মচারীদের জন্যও প্লট বরাদ্দের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল বলে উঠে এসেছে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটির তদন্তে।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুদকের একটি বিশেষ দল রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে ‘বিশেষ বিবেচনায়’ দেওয়া একাধিক প্লট বরাদ্দের নথিপত্র জব্দ করে।
এসব নথিতে দেখা যায়, ‘অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি’ ক্যাটাগরিতে মোট ১৫ জন চালককে ঝিলমিল প্রকল্পে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, দুজন চালক পেয়েছেন তিন কাঠা করে জমি, আর তিনজনকে দেওয়া হয়েছে পাঁচ কাঠা করে জমি।
দুদক জানায়, এই বিশেষ কোটায় শুধু গাড়িচালকরাই নন, আরও অন্তত ৪৫ জন ব্যবসায়ী, দুইজন প্রবাসী (বাংলাদেশি-ব্রিটিশ নাগরিক), কয়েকজন সাংবাদিক, বিচারপতি এবং বিভিন্ন পেশার মানুষ রয়েছেন।
তবে ‘অসামান্য অবদান’ কিসে এবং কীভাবে তারা রাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন সে বিষয়ে নথিতে কোনো সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই বলেও জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজউকে ‘বিশেষ বিবেচনায়’ প্লট বরাদ্দ দেওয়ার পদ্ধতি ও স্বচ্ছতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। বিষয়টি তদন্তাধীন এবং পরবর্তী সময়ে দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে দুদক।