রাজধানী ঢাকায় প্রতি মাসে গড়ে ২০টিরও বেশি হত্যার ঘটনা ঘটছে। এ ছাড়াও গড়ে মাসে ৫টি ডাকাতি ও ১৭৮টি চুরির ঘটনার মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। একই সঙ্গে মাসে গড়ে ৭০টি চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিএমপি।
বুধবার (৩০ জুলাই) মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এসব তথ্য জানান।
ডিএমপির মামলার পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত ৬ মাসে ঢাকা মহানগরের ৫০ থানায় ৩৩টি ডাকাতি, ২৪৮টি ছিনতাই, ১২১টি খুন এবং এক হাজার ৬৮টি চুরির মামলা হয়েছে। প্রতি মাসে গড়ে ২০টির অধিক হত্যা ও ৫টি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। প্রতি মাসে গড়ে ৪৬টি ছিনতাই মামলা এবং ৭০টি চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির কার্যক্রমের বিষয় তুলে ধরে তালেবুর রহমান বলেন, জননিরাপত্তা বিধান ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ঢাকা মহানগর পুলিশ নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এরই অংশ হিসেবে টহল ও চেকপোস্ট বাড়ানো হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডিএমপিতে ৪৪১টি টহল টিম মোতায়েন ছিল। এরমধ্যে দিনে ২৫৯ ও রাতে ২২১টি। ফুট পেট্রোল ২২১টি, মোটরপেট্রোল ২৭টি, এছাড়া বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও কৌশলগত স্থানে চেকপোস্ট পরিচালনা করা হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় সাঁড়াশি অভিযানে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ৪১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে ডাকাত, চোর, মাদক কারবারি ও পরোয়ানাভুক্ত আসামি। অভিযানে মোবাইল ফোন, নগদ ১৩ হাজার টাকা ও মাদক উদ্ধার করা হয়।
থানা পুলিশের পাশাপাশি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার ডিবি ওয়ারির একটি টিম ১২৩টি চোরাই মোবাইলসহ চক্রের ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। মোহাম্মদপুরের কিশোর গ্যাং কবজি কাটা গ্রুপের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বিঘ্নিত করাসহ নানান অভিযোগ রয়েছে। ওই গ্রুপের আনোয়ারের দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া গুলশানে সাবেক সংসদ সদস্যের বাসায় ৫০ লাখ টাকা চাঁদাদাবির ঘটনায় ৫ জন রিমান্ডে রয়েছেন।
ডিএমপির ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার বিষয়ে তালেবুর রহমান বলেন, ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় আমরা নিত্যনতুন কৌশল অবলম্বন করছি। বিভিন্ন ডাইভারশন, ট্রাফিক আইনে ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৮৪৫ মামলা ২৮২ ডাম্পিং ও ৮৩টি গাড়ি র্যাকার করা হয়েছে।
এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। অপরাধীর বিষয়ে তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহযোগিতা করবেন। আপনাদের নিরাপত্তা ও নিরাপদ চলাচলে ডিএমপি আন্তরিকভাবে সার্বক্ষণিক কাজ করছে।
আপনার মতামত লিখুন :