প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফাইজ তাইয়েব আহমেদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ভারতের চেয়ে ৫ শতাংশ কম শুল্ক পেয়েছে, এটাকে সময়ের বিবেচনায় অসামান্য অর্জন বলেই মনে করি’। শুক্রবার (১ আগস্ট) সোশ্যাল মিডিয়ায় এক স্ট্যাটাসে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ইউএসটিআর নেগোসিয়েশনে বাংলাদেশ দল অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে উল্লেখ করে ফাইজ তাইয়েব আহমেদ বলেছেন, ডক্টর খলিলুর রহমান, বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন, বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমানসহ পুরো দল গত দুই মাস ব্যাপক পরিশ্রম করেছেন। কয়েকটি মিটিংয়ে উনাদের কাজ খুব কাছ থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। এ এক অনন্য অভিজ্ঞতা। আমি তাদের সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।
তিনি বলেন, ২০ শতাংশ ট্যারিফ প্রাপ্তিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রতিবেশীসহ আঞ্চলিক রপ্তানি প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ বেশ কিছুটা এগিয়ে গেল। আমি আশা করি, ব্যবসায়ী মহল সরকারকে এ বিষয়ে প্রাপ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাবে। বাংলাদেশের ইন্সেন্টিভ নির্ভর কিছু ব্যবসায়ী অধৈর্য হয়ে পত্র-পত্রিকায় ক্রমাগত বিভিন্ন গুজব এবং হতাশার খবর ছড়াচ্ছিল। যারা ইউএস মার্কেটে শুধু বিক্রি করে, সেখান থেকে তেমন কিছু কেনে না- এ ধরনের ব্যবসায়ীরা একটা বিশৃংখল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করেছে।
‘ইউএস থেকে যাদের কেনার কিছু নেই, স্বাভাবিক কারণেই তাদেরকে নেগোসেশন টিমে রাখা, কিংবা তাদের বলয়ের লবিস্ট নিয়োগের পরামর্শ ছিল হাস্যকর এবং শিশুতোষ। সময় হয়েছে আমাদেরকে আঞ্চলিকভাবে এই নতুন শুল্কহারকে কাজে লাগানো। ডক্টর খলিলুর রহমান এবং শেখ বশির উদ্দিনের চৌকস পারফরম্যান্সকে সামনে এগিয়ে নিতে হবে’, যোগ করেন তিনি।
ফাইজ তাইয়েব আহমেদ বলেন, নেগোসিয়েশনে এনবিআর চেয়ারম্যান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের যারা কাজ করেছেন তাদের সবাইকেও আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। সাথে সাথে যারা নন ডিসক্লাসার এগ্রিমেন্ট লিক করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চেয়েছে, তাদেরও নিন্দা জানাই। চক্রান্তকারীদের মুখে ছাই দিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।