বিপুল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতিতে পর্যটন খাতের অবদান কম। অন্য দেশের তুলনায় আমাদের পর্যটন খাত এখনো পিছিয়ে আছে বলে জানিয়েছেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
সোমবার (৪ আগস্ট) ঢাকায় একটি হোটেলে গ্রিন ট্যুরিজম বিষয়ক চার দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
আদিলুর রহমান খান বলেন, ‘আমাদের রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন ও দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার, ঐতিহাসিক মহাস্থানগড়, পাহাড়পুর, সোনারগাঁও, রামপাল, বজ্রযোগিনী এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর চট্টগ্রাম পার্বত্য অঞ্চল, যা দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করে।’
উপদেষ্টা বলেন, সরকার টেকসই ও সবুজ পর্যটনকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে, যেখানে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, পরিবেশগত টেকসই এবং সাংস্কৃতিক সংরক্ষণের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করার লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, গ্রিন ট্যুরিজম বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল খাত। বিশ্বে ইকো ট্যুরিজমের আকার ৬০০ মিলিয়ন ডলার, যা ছোট কমিউনিটির মধ্যে সীমিত রয়েছে। বাংলাদেশের টেকসইও গ্রিনের উন্নয়নের অনেক সুযোগ রয়েছে।
চার দিনব্যাপী এ আন্তর্জাতিক কর্মশালায় ট্যুরিজম, সাসটেইনেবল-ইকো ট্যুরিজম, ক্লাইমেট চেঞ্জ বিষয়ে ১৫টি সেশন অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে এশিয়ান প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এপিও)-এর সদস্য দেশের প্রতিনিধিরা সাসটেইনেবল ট্যুরিজম বিষয়ে গবেষণা ও ধারণপত্র তুলে ধরবেন।