বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, বাড়ি ভাতা ১ হাজার টাকা এবং চিকিৎসা ভাতা ৫০০ টাকা বাড়ানো হবে। এতে মোট ১ হাজার ৫০০ টাকা বাড়তি সুবিধা পাবেন শিক্ষকরা।
তবে আন্দোলনরত শিক্ষক সংগঠনগুলোর দাবি, বাড়িভাতা নির্দিষ্ট অঙ্কে নয়, শতাংশ হারে বাড়াতে হবে। এতে সব স্তরের শিক্ষক সমানভাবে উপকৃত হবেন।
এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজীজী বলেন, “আমরা ২০ শতাংশ বাড়িভাতার দাবি জানিয়েছি। আগামী সপ্তাহে এ সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ হিসাব মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।”
বর্তমানে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা মাত্র ১ হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া ও ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান। প্রস্তাবটি কার্যকর হলে, জুনিয়র শিক্ষকের ভাতা বাড়বে প্রায় ১,৯০০ টাকা। সহকারী শিক্ষকের ভাতা বাড়বে প্রায় ২,৫৫০ টাকা।
এতে প্রবেশ পর্যায়ের একজন জুনিয়র শিক্ষক প্রায় ৩ হাজার টাকা এবং সহকারী শিক্ষক সাড়ে ৩ হাজার টাকা ভাতা পাবেন। অন্য পদমর্যাদার শিক্ষকরা বেতন গ্রেড অনুযায়ী সুবিধা ভোগ করবেন।
শিক্ষক নেতারা বলছেন, নির্দিষ্ট অঙ্কে ভাতা বাড়ালে ভবিষ্যতে আর কোনো বৃদ্ধি হবে না। কিন্তু শতাংশ হারে বাড়ানো হলে বেতনবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভাতাও স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাড়বে।
এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য মো. রাশেদ মুশাররফ বলেন, “স্বাধীনতার পর থেকেই শিক্ষকরা বৈষম্যের শিকার। এই বৈষম্য আর মেনে নেওয়া হবে না। ভাতা অবশ্যই শতাংশ হারে বাড়াতে হবে, না হলে আবারও আন্দোলনে নামবে শিক্ষক সমাজ।”
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন