ভারতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে ও এসব লঙ্ঘনে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার সীমিত পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) প্রকাশিত ২০২৪ সালের বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদনে এসব কথা বলে পেন্টাগন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বেআইনি বা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, জোরপূর্বক নিখোঁজ করা, নির্যাতন ও অমানবিক আচরণ, বেআইনি গ্রেফতার ও আটকসহ নানা ধরনের গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন ভারতে ঘটছে। বিশেষ করে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে সংখ্যাগরিষ্ঠ খ্রিস্টান কুকি ও হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে চলমান জাতিগত সংঘাত মানবাধিকার পরিস্থিতিকে আরও অবনতির দিকে ঠেলে দিয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত মণিপুরে সহিংসতায় ৪৮ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। সংঘাত নিরসনে সরকারের ব্যর্থতার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে হওয়া বিক্ষোভে পুলিশ স্টান গান ও টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করেছে এবং পরবর্তীতে কয়েকটি এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করেছে। মণিপুরে মানবিক সহায়তা ও পুনর্বাসন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে সুপ্রিম কোর্ট গঠিত প্যানেল কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত কর্মকর্তাদের শনাক্ত ও শাস্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে মোদী সরকার কার্যত ন্যূনতম পদক্ষেপ নিয়েছে।
এছাড়া জম্মু-কাশ্মির, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মাওবাদী ‘সন্ত্রাসপ্রবণ’ এলাকায় সন্ত্রাসী হামলায় নৃশংসতা চালানো হয়েছে। ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মিরে ২০ জন নিরাপত্তা সদস্য ও ১৮ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। পাশাপাশি সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনাও ঘটেছে। এসব অপরাধের তদন্ত ও বিচার কার্যক্রম কর্তৃপক্ষ চালিয়ে যাচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে, এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর ওয়াশিংটনে অবস্থিত ভারতের দূতাবাস এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে নরেন্দ্র মোদী বৈষম্যের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, তার সরকারের নীতিমালা সবার জন্য সমানভাবে কার্যকরী ও মঙ্গলকর।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন