ঢাকা শনিবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৫

সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে বিতর্কিত হতে পারে: বদিউল আলম মজুমদার

বাসস
প্রকাশিত: আগস্ট ১৬, ২০২৫, ০৫:৪১ পিএম
ছবি- সংগৃহীত

সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে সেই নির্বাচন বিতর্কিত হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার। ‍তিনি বলেন,  নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন সম্ভব নয়। এজন্য রাজনৈতিক দল, প্রার্থী, ভোটার, নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমসহ সংশ্লিষ্ট সবার দায়িত্বশীল ভূমিকা অপরিহার্য। 

শনিবার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে অনুষ্ঠিত ছায়া সংসদে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা নেই। ফেব্রুয়ারিতে ঘোষিত সময়ের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া জরুরি।’ 

এবারের নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বজায় থাকবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। তবে রাজনৈতিক দলসমূহ যদি হুণ্ডা-গুণ্ডা ও টাকার খেলায় মত্ত থাকে, তাহলে ভালো নির্বাচন সম্ভব নয় বলেও সতর্ক করেন তিনি।

ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘সংস্কার ব্যতীত নির্বাচন হলে তা বিতর্কিত হতে পারে। লেজুড়ভিত্তিক ছাত্র রাজনীতি গ্রহণযোগ্য নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে।’

আসনভিত্তিক ও আনুপাতিক উভয় পদ্ধতির সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বর্তমান আলোচনায় নিম্নকক্ষ আসনভিত্তিক আর উচ্চকক্ষ আনুপাতিক পদ্ধতিতে গঠনের বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে।’

অনুষ্ঠানের সভাপতি ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, ‘নির্বাচনের প্রধান স্টেকহোল্ডার রাজনৈতিক দলগুলো এখনো বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি। জুলাই সনদ চূড়ান্ত না হওয়া এবং সনাতন নাকি পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে, তা নিয়ে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর বিরোধ নতুন শঙ্কা তৈরি করেছে।’ ঘোষিত সময়ে নির্বাচন না হলে দেশ ভয়াবহ সংকটে পড়তে পারে বলেও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

ছায়া সংসদের প্রতিযোগিতায় ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাই প্রধান’ শীর্ষক বিতর্কে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজকে পরাজিত করে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির বিতার্কিকরা বিজয়ী হয়। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন, অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, ড. এস এম মোর্শেদ, সাংবাদিক সাইদুর রহমান, সাংবাদিক জাকির হোসেন লিটন এবং সাংবাদিক মো. হুমায়ূন কবীর। শেষে অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।