বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আগামী এক মাসের মধ্যে বড় ধরনের রদবদল আসছে। সরকারের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, বেশ কয়েকজন উপদেষ্টাকে তাদের বর্তমান দপ্তর থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। একই সঙ্গে কয়েকটি মন্ত্রণালয়ে নতুন মুখ যোগ হতে যাচ্ছে।
সরকার নির্বাচনের আগে মন্ত্রণালয়গুলোর কাজের গতি বাড়াতে, বিতর্কিত উপদেষ্টাদের ইমেজ রক্ষা করতে এবং কিছু উপদেষ্টার কাজের চাপ কমাতে এই রদবদলের উদ্যোগ নিয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, বর্তমান সরকার ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের আগে ‘ক্লিন ইমেজ’ নিয়ে দায়িত্ব ছাড়তে চায়।
বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদে থাকা ২২ জন সদস্য ৪১টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দায়িত্ব পালন করছেন। এর মধ্যে মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান ও শেখ বশিরউদ্দীন তিনটি করে মন্ত্রণালয় সামলাচ্ছেন। ফাওজুল কবির খান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু, এবং রেলপথ মন্ত্রণালয় দেখছেন। শেখ বশিরউদ্দীন দায়িত্ব পালন করছেন বাণিজ্য, বস্ত্র ও পাট, এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।
দুটি করে মন্ত্রণালয় সামলাচ্ছেন আরও ১০ জন উপদেষ্টা। সবচেয়ে বেশি দায়িত্ব পালন করছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি মন্ত্রিপরিষদ, প্রতিরক্ষা, সশস্ত্র বাহিনী, জনপ্রশাসন ও ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় দেখছেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পদমর্যাদায় বিশেষ সহকারী, বিশেষ দূত ও হাই রিপ্রেজেন্টিটিভ রয়েছেন তিনজন। এছাড়া ছয়জন প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদার বিশেষ সহকারী এবং একজন সিনিয়র সচিব পদমর্যাদার বিশেষ সহকারী রয়েছেন।
দেশের একটি জাতীয় সংবাদমাধ্যমকে সংশ্লিষ্টরা জানান, রদবদলের মাধ্যমে কিছু উপদেষ্টা ও বিশেষ সহকারী বড় মন্ত্রণালয় থেকে অপেক্ষাকৃত ছোট মন্ত্রণালয়ে সরানো হবে, আবার কিছু ছোট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা সদস্য বড় দায়িত্বে আসবেন।
নতুন মুখ হিসেবে কিছু উপদেষ্টা সরকারের বাইরে থেকে আনা হচ্ছে। এদের মধ্যে কেউ কেউ ইতোমধ্যে বর্তমান সরকারের সঙ্গে কাজ করছেন। সূত্র জানায়, দপ্তর বণ্টনে বড় ধরনের চমক থাকবে।