ঢাকা বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

চার পদ্ধতিতে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৫, ০২:৪৯ পিএম
ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক। ছবি-সংগৃহীত

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ বলেছেন, চারটি পদ্ধতিতে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, অধ্যাদেশ, নির্বাহী আদেশ, গণভোট ও বিশেষ সাংবিধানিক আদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করা যেতে পারে।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ২৯টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলো একাধিক পরামর্শ দিলে সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হবে। 

এর আগে সোমবার অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ বাড়িয়েছে। কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

তিনি বলেন, সনদ পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের বিষয়ে ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে চাচ্ছি। কারণ প্রধান উপদেষ্টা ২১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে যাবেন। তবে ব্যর্থ হলে তা ২ অক্টোবরের পরে চলে যেতে পারে।

তিনি আরও বলেন, আশা করা যায় যে, দ্রুততম সময়ের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই সনদ পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের সিদ্ধান্তে একমত হতে পারবে। এ সময় তিনি গণভোট ও সাংবিধানিক আদেশসংক্রান্ত বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে বিদ্যমান ভিন্নমত কাটিয়ে উঠে বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এদিকে, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে ঐকমত্য কমিশনকে চারটি পরামর্শ দিয়েছে বিশেষজ্ঞ প্যানেল। তাদের মতে, এই সনদটি অধ্যাদেশ, নির্বাহী আদেশ, গণভোট কিংবা বিশেষ সাংবিধানিক আদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা সম্ভব।

জানা গেছে, বিশেষজ্ঞ প্যানেল প্রাথমিকভাবে পাঁচটি পদ্ধতির সুপারিশ করেছিল। সেগুলো হলো-অধ্যাদেশ, নির্বাহী আদেশ, গণভোট, বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ এবং সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের মতামত গ্রহণ। তবে পরবর্তীতে বিস্তারিত আলোচনার পর জুলাই সনদের অন্তর্ভুক্ত বিষয়সমূহ (ভিন্নমত বা নোট অব ডিসেন্টসহ) বাস্তবায়নের জন্য সুপ্রিম কোর্টের মতামত চাওয়ার প্রস্তাবটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল বাদ দেয়।

উল্লেখ্য, কমিশনের বিশেষজ্ঞ প্যানেলে রয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইকরামুল হক, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট ড. শরিফ ভূইয়া ও ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক।