সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৫, ০৯:৩৪ পিএম

ইলিশ ধরা যাবে না ২২ দিন

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৫, ০৯:৩৪ পিএম

ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

ডিম ছাড়া ও প্রজননের সময়কাল ধরে ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। আগামী ৪ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ ধরা, আনা-নেওয়া, বাজারজাত ও মজুদ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ থাকবে। এই সময়ে ইলিশ রক্ষায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘মা ইলিশ রক্ষায় বিজ্ঞানভিত্তিক প্রজনন সময় বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মৎস্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থা, বিশেষ করে মৎস্যজীবীদের মতামত অনুযায়ী এই সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।’

ফরিদা আখতার জানান, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম ৪ থেকে ২৫ অক্টোবর। এতে আশ্বিনী পূর্ণিমার চার দিন পূর্ববর্তী ও অমাবস্যার তিন দিন পরবর্তী সময়ও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। মোট ২২ দিন এই অভিযান চলবে।

তিনি বলেন, প্রজনন মৌসুমের পূর্ণিমা ও অমাবস্যা উভয় সময়ই ডিম পাড়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায়, দুটি পর্যায় অন্তর্ভুক্ত করে সর্বোচ্চ প্রজনন নিশ্চিত করা হয়েছে। এই কর্মসূচি ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২৫’ নামে পরিচিত। অভিযান পরিচালনায় মৎস্য কর্মকর্তাদের পাশাপাশি নৌ পুলিশ, কোস্ট গার্ড, নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনীসহ সকল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অংশগ্রহণ করবে।

এই সময়ে জেলেদের জন্য সরকারের উদ্যোগ সম্পর্কে উপদেষ্টা বলেন, ৩৭টি জেলার ১৬৫টি উপজেলার ৬ লাখ ২০ হাজার ১৪০ জেলে পরিবারকে ভিজিএফ (চাল) দেওয়া হবে, পরিবার প্রতি বরাদ্দ থাকবে ২৫ কেজি করে চাল, যা পুরো কার্যক্রমে মোট ১৫ হাজার ৫০৩ দশমিক ৫ টন চাল প্রয়োজন হবে। এ অভিযানের সময় জলসীমার বাইরে মাছ ধরা ট্রলারের অনুপ্রবেশ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। নদীতে ড্রেজিং সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখা হবে। সমুদ্র, উপকূল ও মোহনায়ও প্রধান প্রজনন মৌসুমে ২২ দিন ধরে ইলিশ আহরণ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে।

ফরিদা আখতার বলেন, বিএফআরআই এর গবেষণা অনুযায়ী ২০২৪ সালের নিষেধাজ্ঞার ফলে ৫২ দশমিক ৫ শতাংশ মা ইলিশ নিরাপদে ডিম ছেড়েছিল। এর ফলে ৪৪ দশমিক ২৫ হাজার কোটি জাটকা বা রেণু ইলিশ পরিবারে যুক্ত হয়েছে। এই ডিম থেকে উৎপন্ন রেণু বা পোনা (জাটকা) ভবিষ্যতে পরিপক্ক ইলিশে পরিণত হবে।

গত ৫ বছরে প্রায় ১০ শতাংশ ইলিশ আহরণ কমার তথ্য দিয়ে মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, ২০২০-২১ থেকে ২০২৪-২৫ পর্যন্ত ইলিশ আহরণ ক্রমাগত হ্রাস পেয়েছে।

Link copied!