ঢাকা শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর, ২০২৫

গণভবন কখনোই প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ছিল না: উপ প্রেস সচিব

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ৩, ২০২৫, ০৯:২২ পিএম
প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। ছবি- সংগৃহীত

গণভবন কখনোই সরকারিভাবে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

শুক্রবার (০৩ অক্টোবর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।

পোস্টে আবুল কালাম আজাদ মজুমদার লেখেন, কয়েক দিন ধরে দেখা যাচ্ছে অনেকের মনেই দুঃখ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনকে কেন জাদুঘর বানাতে হবে। তাদের ভাষ্যয় ‘জাদুঘর হবে জাদুঘরের জায়গায়।’ প্রথম কথা হচ্ছে, গণভবন কখনোই সরকারিভাবে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ছিল না। এটা মূলত রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন করতোয়া, যাকে পরে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন বানানো হয়েছে। একটা সময় এখানে বসেই গুম, খুন, লুটপাটের সব আয়োজনসহ জুলাই হত্যাযজ্ঞের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

তিনি লেখেন, ইতিহাসে একটু চোখ রাখলেই দেখা যাবে এরকম অনেক স্থানেই পরে জাদুঘর বানানো হয়েছে। উদাহরণ হিসাবে বলা যায়- পোল্যান্ডে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসি কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প এখন একটি জাদুঘর। হিরোশিমায় ১৯৪৫ সালে পারমাণবিক বোমা হামলার স্থান এখন একটি শান্তি পার্ক এবং জাদুঘর হিসেবে সংরক্ষিত।

উপ প্রেস সচিব লেখেন, ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় ব্যবহৃত ভূগর্ভস্থ কু চি টানেল নেটওয়ার্ক এখন একটি যুদ্ধ জাদুঘর। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গেটিসবার্গ ব্যাটেলফিল্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ গৃহযুদ্ধের স্থান। এটি এখন একটি জাদুঘর এবং গেটিসবার্গ জাতীয় সামরিক উদ্যানের অংশ। নেলসন ম্যান্ডেলাকে যেখানে বন্দি করা হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার রোবেন আইল্যান্ডের সেই কারাগার এখন একটি জাদুঘর। প্যারিসের বাস্তিল দুর্গ ভেঙে ফেলা হলেও এর কিছু অংশ সংরক্ষিত এবং ফরাসি বিপ্লবের জাদুঘর হিসেবে রাখা হয়েছে।

তিনি আরও লেখেন, ভারতে ১৯১৯ সালের গণহত্যার স্থান জালিয়ানওয়ালাবাগ একটি স্মৃতিস্তম্ভ এবং জাদুঘর হিসেবে সংরক্ষিত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় অ্যানা ফ্রাঙ্ক এবং তার পরিবারের লুকানোর স্থান আমস্টারডামে এখন একটি জাদুঘর। গণভবন জাদুঘর হলে তাদেরই সমস্যা, যাদের কাছে জুলাইয়ের হত্যাযজ্ঞ একটা মামুলি ঘটনা এবং যারা আশায় আছেন এই হত্যাকারীরা ফিরবে।