জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-জনতাকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও ‘জুলাই আহত বীর’ হিসেবে মর্যাদা দেওয়াসহ ৩ দফা দাবিতে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার ১২ নম্বর গেটের সামনে অবস্থান নিয়েছেন ‘ওয়ারিয়র্স অব জুলাই’ নামে পরিচিত জুলাই যোদ্ধারা। তারা স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, দাবি না মানলে সংসদের গেট ছাড়বেন না।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) দুপুর পৌনে ১২টা থেকে তারা সংসদ ভবনের ১২ নম্বর গেটের সামনে অবস্থান নেন। এর আগে তারা জাতীয় সংসদে প্রবেশের চেষ্টা করলে সেনাবাহিনীর সদস্যরা বাধা দেন।
জুলাই যোদ্ধাদের ৩ দফা দাবি-
১.জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-জনতাকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও জুলাই আহত বীর হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে হবে৷
২.আহতদের জন্য আইনগত সুরক্ষা ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
৩.উক্ত দাবিসমূহ জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫ এ অন্তর্ভুক্ত করে দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।
জুলাই যোদ্ধাদের ক্ষোভ
এদিন জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার গেটের সামনেই বসে আন্দোলনকারীরা ইনকিলাব জিন্দাবাদসহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায় তাদের। তারা বলেন, ‘আমাদের রক্তের বিনিময়ে এক গ্রুপ দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, আরেক গ্রুপ ক্ষমতায় বসেছে। সেই সংসদেই আমাদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না! আমরা যদি আবার রক্ত দিই, তাহলে তারাও টিকবে না। আমাদের কেন পাশ নিতে হবে?’
আন্দোলনকারীদের একজন আহত জুলাই যোদ্ধা জিহাদ হাসান বলেন, ‘সনদের ৫ম ধারায় লেখা হয়েছে, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের সব হত্যাকাণ্ড’। কিন্তু সব হত্যাকাণ্ড বলতে কি বোঝানো হয়েছে? দুই পক্ষেই তো হতাহত রয়েছে। শহীদ পরিবারদের সহায়তার সঙ্গে আহতদের বিষয়ও যুক্ত করতে হবে। লাইনে ঘাটতি আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কমিশনকে আপত্তি জানিয়েছি। তারা বলেছে এখন পরিবর্তন সম্ভব নয়। তাই আমরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও কথা বলছি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ সরকারকে বিষয়টি জানানোর আশ্বাস দিয়েছেন।’
জিহাদ বলেন, ‘অনুষ্ঠানে আমাদের ইনভাইট করা উচিত ছিল। ড. ইউনুস তো আমাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়েই অনুষ্ঠানে এসেছেন! তিনি ১৫/২০ হাজার চেয়ার দিতে পারলে আমাদের কেন নয়?’