জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-জনতাকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও জুলাই আহত বীর হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়াসহ তিন দফা দাবিতে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় অবস্থান নিয়েছেন জুলাই যোদ্ধারা। দাবি না মানলে এলাকা না ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা৷
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) দুপুর পৌনে ১২টা থেকে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার ১২ নম্বর গেটের সামনে তারা অবস্থান নেন। এর আগে তারা জাতীয় সংসদে প্রবেশের চেষ্টা করলে তাদের বাধা দেওয়া হয়।
এ সময় বিক্ষিপ্ত জুলাই যোদ্ধারা সংসদ ভবনের ১২ নম্বর গেট ভেঙে ফেলেন, এমনকি বের হয়ে বেশ কয়েকটি ট্রাক ও বাস ভাঙচুর করেন। পুলিশের ব্যারিকেডের জন্য ব্যবহৃত রোড-ব্লকারগুলো একত্রিত করে আগুন ধরিয়ে দেন। এ ছাড়া জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে মানিক মিয়া এভিনিউয়ে সেচ ভবনের সামনে তৈরি করা অস্থায়ী তাঁবুতেও আগুন ধরিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা।
মানিক মিয়া এভিনিউয়ে বর্তমানে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। এমনকি সাধারণ মানুষের হেঁটে চলাও বন্ধ রয়েছে। এই সড়কের পাশাপাশি মিরপুর সড়কেও যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
আহত জুলাই যোদ্ধা জিহাদ হাসান জানান, ‘সনদের ৫ ধারায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সব হত্যাকাণ্ড লিখেছে, কিন্তু সব হত্যাকাণ্ড বলতে কী বুঝিয়েছে, দুই পক্ষেরই তো আছে। আর শহীদ পরিবারের সহায়তা ও নিরাপত্তা এখানে আহতদেরও যুক্ত করতে হবে। লাইনে ঘাটতি আছে। এসব জায়গায় পরিবর্তন চাই।’
তিনি আরও জানান, তারা কমিশনকে আপত্তির কথা জানিয়েছেন। কিন্তু এখন পরিবর্তন সম্ভব না বলে জানানো হয়েছে। তাই তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছেও বিষয়টি তুলেছেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ এটা সরকারের কাছে তুলে ধরে পরিবর্তন করার কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন।
এই জুলাই যোদ্ধা আরও বলেন, ‘অনুষ্ঠানস্থলে আমাদের এত জোরাজুরি করে ঢুকতে হবে কেন? আমাদের কি ইনভাইট (আমন্ত্রণ) করা উচিত ছিল না? ড. ইউনূস কি আমাদের রক্তের ওপরে না? তিনি বিভিন্ন জায়গা থেকে আমন্ত্রণ করতে পারে, সে ১৫/২০ হাজার চেয়ার দিতে পারতেন না?’
‘ওয়ারিয়র্স অব জুলাই’ নামে জুলাই যোদ্ধাদের সংগঠন তিনটি দাবি জানিয়েছে। সেগুলো হলো:
- জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-জনতাকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও জুলাই আহত বীর হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে হবে।
- আহতদের জন্য আইনগত সুরক্ষা ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
- এই দাবিগুলো জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫-এ অন্তর্ভুক্ত করে দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।