শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০২৫, ১২:১৩ পিএম

ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আজ

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০২৫, ১২:১৩ পিএম

ঐকমত্য কমিশন। ছবি- সংগৃহীত

ঐকমত্য কমিশন। ছবি- সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আজ শুক্রবার (৩১ অক্টোবর)। রাজনৈতিক সংস্কার ও প্রাতিষ্ঠানিক পুনর্গঠনের লক্ষ্য নিয়ে চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি এই কমিশন গঠন করা হয়।

সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। কমিশনের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফররাজ হোসেন, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি এমদাদুল হক, দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

গঠনের সময় কমিশনকে ছয় মাসের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই হিসেব অনুযায়ী এর মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল গত ১৫ আগস্ট। তবে নির্ধারিত সময়ে কার্যক্রম শেষ না হওয়ায় সরকার তিন দফায় কমিশনের মেয়াদ বাড়ায়, প্রথম দুই দফায় এক মাস করে এবং সর্বশেষ তৃতীয় দফায় ১৫ দিন বাড়িয়ে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়।

আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, সংবিধান ও দুর্নীতি দমন কাঠামো সংস্কার এসব বিষয়ে বিভিন্ন কমিশনের সুপারিশসমূহ একত্র করে জাতীয় ঐকমত্য তৈরির কাজ করেছে এই কমিশন।

কমিশনের নেতৃত্বে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের সঙ্গে একাধিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। এর ফলেই ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ ও ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ নামে দুটি গুরুত্বপূর্ণ নথি প্রণয়ন করা হয়।

ঐকমত্য কমিশনের নেতৃত্বে তৈরি জুলাই সনদে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো স্বাক্ষর করেছে। এই সনদে আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে এবং পরবর্তী সরকার গঠনের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক সংস্কারের রূপরেখা তুলে ধরা হয়েছে। তবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এখনো সনদে স্বাক্ষর করেনি বলে জানা গেছে।

এছাড়া, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশমালা ইতোমধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, প্রস্তাবিত সংস্কারগুলো কার্যকর হলে প্রশাসন, বিচারব্যবস্থা এবং নির্বাচন প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হবে।

মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কমিশনটির কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে কি না- তা এখনও স্পষ্ট নয়। সরকারি সূত্র জানিয়েছে, প্রয়োজনবোধে ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ পুনরায় বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনায় নিতে পারে সরকার।

বিশ্লেষকরা বলছেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মাধ্যমে শুরু হওয়া রাজনৈতিক সংলাপ ও সংস্কার প্রক্রিয়া দেশের গণতান্ত্রিক ধারাকে আরও সুসংহত করতে সহায়ক হবে।

Link copied!