১৯৮৭ থেকে ২০২৫ সাল— সময়ের ব্যবধান ৩৮ বছর। গণতন্ত্রকামী মানুষের কাছে দুটি ছবি বেশ নাড়া দেয়। ১৯৮৭ সালে—বুকে ও পিঠে ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ স্লোগান লিখে রাজপথে প্রাণ দেন নূর হোসেন। গণতন্ত্রকামী মানুষের আন্দোলনকে অনিবার্য পরিণতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যায় নূর হোসেনের সেই আত্মত্যাগ। এরপর থেকে বাংলাদেশে দিনটি পালিত হয়ে আসছে ‘শহীদ নূর হোসেন দিবস’ হিসেবে।
১৯৮৭ সালে তৎকালীন স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনের নায়ক নূর হোসেন। যিনি জীবন্ত পোস্টার হয়ে গণতন্ত্রকামী মানুষের চিরন্তন আকাঙ্ক্ষাকে স্লোগানের অক্ষরে বুকে-পিঠে ধারণ করেছিলেন। নূর হোসেনের আত্মদানের পর ১৯৯০ সালে ৬ ডিসেম্বর এরশাদের স্বৈরশাসনের অবসান ঘটে। তার এই প্রয়াণ ‘গণতন্ত্র মুক্তি দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। বিএনপি দিনটিকে ‘ঐতিহাসিক ১০ নভেম্বর দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে।
আজ সোমবার ‘ঐতিহাসিক ১০ নভেম্বর দিবস’। এদিন হাজারো প্রতিবাদী যুবকের সঙ্গে জীবন্ত পোস্টার হয়ে রাজপথে নেমে এসেছিলেন নূর হোসেন। নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আজ দিবসটি পালন করবে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন।
স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের লেলিয়ে দেওয়া বাহিনী নির্বিচারে গুলি চালিয়ে নূর হোসেনের বুক ঝাঁঝরা করে দেয়। তার আত্মত্যাগে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন আরও বেগবান ও তিন জোটের সংগ্রাম অপ্রতিরোধ্য রূপ লাভ করে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সেই সময়ের অকুতোভয় এই নূর হোসেনদের জন্যই প্রবল শক্তিশালী স্বৈরশক্তিও মাথানত করতে বাধ্য হয়।
ঢাকার নারিন্দায় এক অটোরিকশাচালকের ঘরে জন্ম নেন নূর হোসেন। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া শেষে নূর হোসেন গাড়ি চালানোর প্রশিক্ষণ নেন।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন