ঢাকা মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৫

দিল্লিতে বিস্ফোরণ

বাংলাদেশকে জড়িয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের সংবাদ ভিত্তিহীন: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা 

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১১, ২০২৫, ০৮:৫৫ পিএম
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। ছবি- সংগৃহীত

ভারতের রাজধানী দিল্লিতে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বিস্ফোরণ ও নাশকতার ঘটনায় বাংলাদেশকে জড়িয়ে যে সংবাদ প্রকাশ করছে ভারতীয় গণমাধ্যম, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে নাকচ করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যা-ই কিছু ঘটুক না কেন, ভারতের গণমাধ্যম দোষ চাপানোর চেষ্টা করে থাকে। এমন ধরনের বক্তব্য বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই। কোনো বিবেকবান মানুষ এগুলো বিশ্বাস করবে না।’

গত সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লির লালকেল্লার কাছে একটি গাড়িতে বিস্ফোরণে ১৩ জন নিহত হন। ভারতের সরকার হামলাকে নাশকতা হিসেবে ঘোষণা করেছে, তবে হামলার জন্য দায়ী কে বা কারা তা এখনো নিশ্চিত করা হয়নি। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ দায় স্বীকার করেনি।

তবে ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, পাকিস্তান ভিত্তিক লস্কর-ই তৈয়বাই এই হামলার সঙ্গে জড়িত এবং তাদের কার্যক্রমের জন্য বাংলাদেশকে ব্যবহার করা হচ্ছে। এ বিষয়ে তৌহিদ হোসেন স্পষ্টভাবে জানান, ‘যা-ই কিছু ঘটুক না কেন, ভারতের গণমাধ্যম দোষ চাপানোর চেষ্টা করে থাকে।’

জুলাই মাসের অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের জাতিসংঘে চিঠি পাঠানোর বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘যে কেউ জাতিসংঘে আবেদন করতে পারে। তবে জাতিসংঘ এখন পর্যন্ত বাংলাদেশকে কিছু জানায়নি। যদি জানায়, তখন আমরা বিষয়টি দেখব।’

এ ছাড়া, মার্কিন সিনেটে কণ্ঠভোটে পাস হওয়া ‘থিঙ্ক টোয়াইস অ্যাক্ট’-২০২৫ সম্পর্কেও তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সবসময় ভারসাম্য নীতি বজায় রেখেছে এবং বজায় রাখবে। চীন থেকে সমরাস্ত্র কেনার কারণে বাংলাদেশকে কোনো নিষেধাজ্ঞা বা অর্থনৈতিক বিধিনিষেধের মুখোমুখি হতে হবে বলে সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।’

‘থিঙ্ক টোয়াইস অ্যাক্ট’-২০২৫ হলো যুক্তরাষ্ট্রের একটি আইন, যা বিশ্বব্যাপী প্রতিরক্ষা খাতে চীনের আধিপত্য রোধের লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কোনো দেশ চীন থেকে সমরাস্ত্র কিনলে ওয়াশিংটন তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা ও অর্থনৈতিক বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে।