শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৫, ২০২৫, ০১:২৭ পিএম

কোন পদ্ধতিতে প্রথমবারের মতো ভোট দেবেন প্রবাসীরা?

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৫, ২০২৫, ০১:২৭ পিএম

আসন্ন নির্বাচনে প্রবাসীরাও দেবেন ভোট। ছবি- সংগৃহীত

আসন্ন নির্বাচনে প্রবাসীরাও দেবেন ভোট। ছবি- সংগৃহীত

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এ কারণে ভোটার নিবন্ধন অ্যাপ চালু করা হচ্ছে। যেখানে নিবন্ধন করলেই বিভিন্ন দেশে থাকা প্রবাসী ভোটারদের কাছে চলে যাবে ব্যালট পেপার। আর ভোট দেওয়ার পর সেটি আবার পোঁছে যাবে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে। তবে এতে সময় লাগতে পারে ১৫ থেকে ৩০ দিন পর্যন্ত।

আগামী ১৮ নভেম্বর প্রবাসী ভোটারদের জন্য ‘পোস্টাল ভোট বিডি নামে’  একটি নতুন পদ্ধতি চালু করতে যাচ্ছে ইসি। সম্প্রতি ইসির অফিসিয়াল ইউটিউবে চ্যানেলে এক ভিডিও বার্তায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, বিশ্বের যেখানেই থাকুন না কেন, আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় প্রবাসীরা এবার ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন। এটি দেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় এক ঐতিহাসিক মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হবে।

জানা গেছে, শুধু ইসির অ্যাপে নিবন্ধিত প্রবাসী ভোটারদের ঠিকানায় ব্যালট পাঠানো হবে। প্রার্থীর প্রতীক চূড়ান্ত হওয়ার পরই অ্যাপ থেকে ভোটার তার আসনের প্রার্থী দেখে ভোট দিয়ে ব্যালট ফেরত পাঠাবেন বাংলাদেশে। সেই ব্যালটে আবার ‘না’ ভোটও যুক্ত থাকবে। যদি কোনো আসনে একজন মাত্র প্রার্থী থাকেন, শুধুমাত্র সেই সব আসনের ভোটাররাই এই না ভোট দিতে পারবেন। প্রবাসীদের কাছে ব্যালট পাঠানো থেকে শুরু ভোট প্রদান শেষে সেগুলো রিটার্নিং অফিসে পাঠানো পর্যন্ত পুরো দায়িত্ব থাকবে ডাক বিভাগের হাতে। নির্বাচন কমিশন বলছে, এক্ষেত্রে ভোটার প্রতি খরচ পড়বে মাত্র ৭০০ টাকা।

বিদেশে বসে ভোট দিতে অ্যাপে নিবন্ধনের জন্য প্রত্যেক ভোটারের লাগবে একটি করে আন্তর্জাতিক সিমকার্ড। প্রবাসী ভোটার বাদেও এই পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন ভোটের দায়িত্বে নিয়োজিত সরকারি চাকরিজীবী ও দেশের ৭১টি কারাগারে বন্দি ও কয়েদিরা। তাদের জন্যও আলাদা নিবন্ধন ব্যবস্থা চালু করবে ইসি। তবে এই অ্যাপে জিও লোকেশন চালু থাকার কারণে বাংলাদেশে বসে কোনোভাবেই অ্যাপটি ব্যবহার করা যাবে না।

বাংলাদেশ বসে নিবন্ধনের সুযোগ নেই

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটের সুযোগ নিয়ে এর আগে বিভিন্ন সময় আলোচনা হলেও এবারই প্রথম ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন প্রবাসীরা। এক্ষেত্রে বিদেশে বসে ভোট দেওয়ার জন্য প্রথমেই নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধনের জন্য প্রবাসীকে গুগল প্লে স্টোর অথবা আইফোনের অ্যাপ স্টোর থেকে ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপটি ডাউনলোড করে নিবন্ধন করতে হবে।

এই অ্যাপটির বিশেষত্ব হচ্ছে অ্যাপটির জিও লোকেশন এনাবেল বা চালু থাকবে। যে কারণে বাংলাদেশ থেকে কোনোভাবেই এই অ্যাপটি চালু করা যাবে না। আন্তর্জাতিক মোবাইল নম্বর প্রবেশ করানোর পর ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড বা ওটিপি আসবে। ওটিপি দিয়ে মোবাইল নম্বর নিশ্চিত করতে হবে। এরপর জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডির ছবি তুলে আপলোড করতে হবে। পরবর্তীতে দিতে হবে ভোটারের ছবি।

প্রার্থী চূড়ান্তের আগেই যাবে ব্যালট?

প্রবাসের ঠিকানাসহ যখন একজন ভোটারের নিবন্ধন সম্পন্ন হবে, তিনি বাংলাদেশের যে আসনের ভোটার সেই আসন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে ভোটারের তথ্য চলে যাবে। সে অনুযায়ী হবে পৃথক ভোটার তালিকা। প্রবাসী ভোটারদের নিবন্ধন শেষ হওয়ার চলমান থাকা অবস্থায়ই ঘোষণা হবে আগামী জাতীয় নির্বাচনের তফসিল। তখন প্রবাসী ভোটারদের অপেক্ষা করতে হবে ব্যালট পেপারের জন্য।

নিবন্ধনের সময় প্রবাসী ভোটার যে ঠিকানা দেবেন সেই ঠিকানায় মার্কা ও প্রতীকসহ ব্যালট একটি প্যাকেটে পাঠানো হবে। ভিন্ন ভিন্ন আসনের ভোটার থাকলেও সব ভোটারের কাছে যাবে একই ব্যালট পেপার। যেখানে সবগুলো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য বরাদ্দকৃত ১১৯টি প্রতীক থাকবে ব্যালটে। প্রবাসী ভোটারের হাতে ব্যালট পেপার পৌঁছালেও প্রার্থী চূড়ান্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন না কেউ। রিটার্নিং কর্মকর্তার পাঠানো খাম পেলে ভোটার অ্যাপে প্রবেশ করবেন। এরপর নির্দেশিকা দেখে মোবাইল নম্বর নিশ্চিত করবেন। পরবর্তীতে খামের ওপর থাকা কিউআর কোড স্ক্যান করলেই ভোটার তার আসনের সব প্রার্থীর নাম দেখতে পাবেন।

নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব ও প্রবাসী ভোটার প্রকল্পের পরিচালক কে এম আলী নেওয়াজ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মনোনয়নপত্র দাখিল, বাছাই ও প্রত্যাহারের পর যখন চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে তারপরই অ্যাপ থেকে স্ব স্ব আসনের প্রার্থী তালিকা জানতে পারবেন প্রবাসী ভোটাররা। ওই আসনে কোনো রাজনৈতিক দল বা তার পছন্দের প্রার্থীর প্রতীক ভোটার নিজেই দেখতে পারবেন অ্যাপে। সেখান থেকে প্রবাসী ভোটার ১১৯টি প্রতীকের মধ্যে তার পছন্দের প্রতীকের ব্যালটের পাশে টিক বা ক্রস চিহ্ন দিবেন। এরপর ব্যালট রিটার্ন খামে ভরে পোস্ট অফিসের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেবেন। ডাক পে আগে থেকেই মাসুল করা থাকবে।’

‘যদি কোনো ভোটার ভোট দেওয়ার পর দেখেন তিনি যে প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন সেই প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে, তখন ওই আসনের প্রবাসী ভোটও বাতিল হবে। একই সাথে যদি ওই আসনে বাদ পড়া কোনো প্রার্থী যদি উচ্চ আদালতে আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পান, সেক্ষেত্রেও সংশ্লিষ্ট আসনের প্রবাসী ভোট বাতিল বলে গণ্য হবে’, বলে জানান ইসির অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ।

সময়মতো না পৌঁছালে ‘ভোট বাতিল’

ব্যালট পেপার যে খামে পাঠানো হবে তার সাথে থাকবে একটি ঘোষণাপত্র। ব্যালট পেপারে ভোট দেওয়ার পাশাপাশি ওই ঘোষণাপত্রেও স্বাক্ষর করতে হবে ভোটারকে। যদি কোনো ভোটার শুধু ভোট দিয়ে ঘোষণাপত্রে সাক্ষর ছাড়াই ব্যালট পেপার বাংলাদেশে পাঠান সেক্ষেত্রে ওই ভোটটি বাতিল ভোট হিসেবেই গণ্য করবে রিটার্নিং কর্মকর্তা।

নির্বাচন কমিশন বলছে, পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে প্রবাসী ভোটারদের ভোট আয়োজনে ভোটার প্রতি ইসির খরচ পড়বে ৭০০ টাকা। এই পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে এরই মধ্যে ডাক বিভাগের সাথে চুক্তিও করেছে নির্বাচন কমিশন।

ডাক বিভাগের সাথে বৈঠকের পর নির্বাচন কমিশন ধারণা করছে, ব্যালট পাঠানো থেকে শুরু করে ফেরত আসা পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়া শেষ হতে সর্বনিম্ন ১৫ থেকে সর্বোচ্চ ৩০ দিন সময় লাগবে। সেই হিসাব করেই ব্যালট পাঠানো হবে ভোটারদের কাছে। চুক্তি অনুযায়ী ব্যালট ট্র্যাকিং সিস্টেম যুক্ত থাকবে। কোন ব্যালট কোথায় আছে সেটি যেমন ভোটারও জানতে পারবে, তেমনি সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসও সেই তথ্য জানতে পারবে। জাতীয় নির্বাচনের দিন বিকেল চারটার মধ্যে যে সব ব্যালট রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পৌঁছাবে সেটিকে বৈধ ভোট ধরা হবে। বাকিগুলো বাতিল হয়ে যাবে।

এক্ষেত্রে সঠিক সময়ে ব্যালট এসে পৌঁছানো, কিংবা আগাম ব্যালট পাঠানোর পর নতুন কোনো প্রার্থী তালিকায় যুক্ত হওয়া কিংবা তালিকা থেকে বাদ পড়ার বিষয়টিকে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে নির্বাচন কমিশন।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

Link copied!