জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, গণহত্যা ও গুরুতর মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় করা মামলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীরা।
তাদের অভিযোগ—সেদিনের নৃশংসতার দৃশ্য এখনো চোখে ভাসে, তাই কেবল আদেশে নয়, ‘দৃশ্যমান বিচার’ই তাদের প্রত্যাশা। আজ সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রবেশের আগে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে সাক্ষীরা এসব মন্তব্য করেন।
নিউরো সায়েন্স হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, আমি যেদিন সাক্ষ্য দিয়েছি, সেদিনও অত্যন্ত উদ্বেগ আর আবেগে ছিলাম। আজও সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়লে শিউরে ওঠি।
নিউরো সায়েন্সে ওই সময় ১৬৭ জন রোগী এসেছিল—এদের অনেকের মাথার খুলি পর্যন্ত ছিল না। তাদের সেবা দিয়েছি, তাদের আহাজারি শুনেছি। এই নির্মমতার সাক্ষী আমি।
তিনি আরও যোগ করেন, সব শহীদ ও আহতের জন্য গণহত্যাকারী শেখ হাসিনাসহ সব আসামির সর্বোচ্চ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। শুধু আদেশে নয়, দৃশ্যমান বিচার দেখতে চাই। দেশের পক্ষে দাঁড়িয়েই শপথবাক্য দিয়েছি, তাই সাক্ষ্য দিতে পেরে গর্বিত।
মামলার আরেক সাক্ষী, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ডা. জাকিয়া সুলতানা নীলা জানান, জুলাই অভ্যুত্থানের সময় আহতদের চিকিৎসায় তিনি সরাসরি দায়িত্বে ছিলেন।
তিনি বলেন, রাস্তায়, হাসপাতালে, অপারেশন থিয়েটারে—সব জায়গায় শুধু আহাজারি দেখেছি। আন্দোলনে আহত আমার ভাইয়েরা ন্যায়বিচার পাক—এই দাবি জানাতেই আজ আবার ট্রাইব্যুনালে এসেছি।


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন