দেশে নারীর প্রতি সহিংসতা কমেনি, বরং বেড়েই চলেছে বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস উদযাপন উপলক্ষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।
শারমীন এস মুরশিদ বলেন, রাজনৈতিক শাসকরা তাদের নানা রাজনৈতিক স্বার্থে মেয়েদের ওপর জুলুম করে। যেমন- জমি যদি দখল করতে হয়, নারী ও শিশুকে নির্যাতন করো, সেই পরিবারগুলো সরে যাবে। যদি নির্বাচনকে পক্ষে আনতে হয়, একটা কমিউনিটি বা নারীদের সহিংসতার মধ্যে ফেলে দাও। ওই গোষ্ঠী সেই জায়গা থেকে সরে যাবে। রাজনৈতিক বদ উদ্দেশ্যে যারা ঘটনাগুলো, ঘটায় তাদের লাভ হয়
তিনি বলেন, একটি আলোকিত সমাজে নারী ও শিশুদের প্রতি যে সম্মানটুকু থাকে, সেটি যখন ভাঙতে শুরু করে, সেই সমাজ কিন্তু সার্বিকভাবে ভাঙতে শুরু। আমার এটার একটি চরম রূপ দেখেছি গত ১৬-১৭ বছরে, একটি স্বৈরাচারী পরিবেশে। সংস্কৃতির গভীরে যদি এমন আচরণ থাকে, এমন নীতি থাকে, যেখানে নারীকে অসম্মান করা গ্রহণযোগ্য হয়ে যায়, সেই সমাজ ভয়ঙ্কর একটি জায়গায় চলে যায়। সহিংসতা নারীর প্রতি বাংলাদেশে কমেনি, বরং বেড়েই চলেছে।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, একটি দেশকে বিচার করা উচিত সে দেশ তার নারী ও শিশুকে কীভাবে রাখে এবং দেখে তার ওপর বিবেচনা করে। অসভ্য সমাজে নারী-শিশু নির্যাতন ঘটতে দেয়া হয়।
তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মেয়েরা প্রমাণ করে দিয়েছে দেশের সংকটে তারা কতটা বলিষ্ঠ এবং দুঃসাহসী। দেশের যেকোনো জায়গায় নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জানা এবং এ ব্যাপারে সক্রিয় হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়। সেজন্য কুইক রেসপন্স স্ট্র্যাটেজি করা হয়েছে। শারমীন মুরশিদ আরও জানান, ১৬ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ উদযাপিত হবে। আগামী ২৫ নভেম্বর যার উদ্বোধন হবে চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে।


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন