বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম ও দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল ঐতিহাসিকভাবে ভূমিকম্প প্রবণ। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের ৪০-৫০ শতাংশ ভবন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বড় মাত্রার ভূমিকম্পের পর অগ্নিকাণ্ডসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি রয়েছে।
ভূমিকম্পের মতো বড় দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য চলতি বছরের মে মাসে ফায়ার সার্ভিসের অপারেশনাল বিভাগকে মিরপুরে স্থানান্তর করা হয়েছে।
ঢাকায় ভূমিকম্পের মতো বড় দুর্যোগের যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, সেজন্য উদ্ধার সহায়তায় কুইক রেসপন্স করতে ৬০ সদস্যের স্পেশাল ফোর্স গড়া হয়েছে।
ঢাকার বাইরেও প্রতিটি বিভাগীয় শহরে ২০ জনের একটি করে স্পেশাল টিম প্রস্তুত করা হয়েছে। যারা বিশেষভাবে ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগে উদ্ধার অভিযানের জন্য প্রশিক্ষিত।
এর বাইরে শুধু ভূমিকম্পের মতো বড় দুর্যোগ মোকাবিলার স্বার্থে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ফায়ার সার্ভিসের ডিরেক্টর ট্রেনিং ও ডেভেলপমেন্ট বিভাগকে ঢাকার অদূরে পূর্বাচলে নেওয়া হচ্ছে।
সারা দেশ থেকে বাছাই করা ফাইটারদের নিয়ে ৬০ জনের একটা স্পেশাল টিম গঠন করা হয়েছে। বড় ভূমিকম্প থেকে সুরক্ষা হিসেবে তাদের পূর্বাচলে রাখা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ইতোমধ্যেই ৫৮ হাজার প্রশিক্ষিত ভলান্টিয়ার তৈরি করেছে। ভলান্টিয়ারের এই টিমটি যেকোনো ভূমিকম্প প্রভাবিত এলাকায় দ্রুত রেসপন্স করবে।
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল বলেন,‘বড় ভূমিকম্প হলে উদ্ধার কার্যক্রম একা পরিচালনা করা সম্ভব নয়।
সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্মিলিতভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। ফায়ার সার্ভিসের অপারেশনাল টিমও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, তাই তাদের পৃথকভাবে স্থাপন করা হয়েছে।’
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লে. কর্নেল এম এ আজাদ আনোয়ার বলেন, ঢাকায় ৭.৫ রিখটার স্কেলের ভূমিকম্প হলে ৬ লাখের বেশি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, দেড় থেকে দুই লাখ মানুষ নিহত হতে পারে। তাই সচেতনতা, নিরাপদ ভবন নির্মাণ এবং রেট্রোফিটিং অপরিহার্য।’
তিনি আরও বলেন, ভূমিকম্পের সময় আতঙ্ক এড়াতে হাইরাইজ বিল্ডিংয়ে থাকা মানুষকে সুরক্ষিত স্থানে আশ্রয় নিতে হবে। জরুরি অবস্থার জন্য শুকনো খাবার, পানি, টর্চ, ব্যাটারি, রেডিও ইত্যাদি ‘ইমার্জেন্সি প্যাক’ প্রস্তুত রাখতে হবে।



সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন