বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান সার্বক্ষণিক দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
ডা. জাহিদ বলেন, ‘গত ২৭ তারিখ থেকে সিসিইউতে আছেন খালেদা জিয়া। তিনি ডাক্তারদের চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারছেন। অথবা যদি বলি, ডাক্তারদের পরামর্শ মেইনটেইন করতে পারছেন।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের লাখো কোটি মানুষের দোয়ায় হয়তো এ যাত্রায় সুস্থ হয়ে যাবেন বেগম খালেদা জিয়া।’
বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক বিষয়ে কোনো ধরনের গুজবে কান না দেওয়ার অনুরোধও করেন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
এ সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতিও দলের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
এদিকে খালেদা জিয়া রাজধানীর যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। হাসপাতালের মূল ফটকের দুই পাশে ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া কাউকে সেখানে ভিড় করতে দিচ্ছেন না পুলিশের সদস্যরা।
এর আগে গত রোববার (২৩ নভেম্বর) রাত ৮টায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে। তিনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি পরীক্ষা করানোর পর চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তার ফুসফুস ও হার্টে সংক্রমণ হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসায় অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকাদার ছাড়াও মেডিকেল বোর্ডে রয়েছেন অধ্যাপক এফএস সিদ্দিকী, ডা. জাফর ইকবাল, ডা. জিয়াউল হক, ডা. মামুন আহমেদ ও অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইফুল ইসলাম।




