ঢাকা মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর, ২০২৫

‘বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী গণতান্ত্রিক পশ্চাৎ যাত্রার ধারা ঘুরিয়ে দিতে পারে’

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২, ২০২৫, ০৬:৩৯ পিএম
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-এর রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। ছবি- সংগৃহীত

এখন সেই সময়, যখন ঢাকা প্রমাণ করতে পারে যে,  বৈশ্বিক গণতান্ত্রিক পশ্চাৎ যাত্রার প্রবণতা উল্টে দেওয়ার সক্ষমতা বাংলাদেশের আছে বলে জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-এর রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার।

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি।

ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, গণভোটের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বিষয়টি নিয়ে অনেক ভোটারের অভিজ্ঞতা নেই। তবে, বাংলাদেশের জনগণের এখনই সময় বিশ্বকে দেখিয়ে দেওয়ার, এই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার মধ্য দিয়ে। সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় ইইউ। তফসিলের জন্য অপেক্ষা করছে ইইউ। অপেক্ষা করছে, অনেকদিন পর বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচন দেখার জন্য।

গত সপ্তাহে নির্বাচন কমিশন আয়োজিত মক ভোটিং পরিদর্শন করেছিলেন ইইউ রাষ্ট্রদূত। বিষয়টি উল্লেখ করে মাইকেল মিলার বলেন, একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও জুলাই সনদ নিয়ে গণভোট আয়োজনের অগ্রিম প্রস্তুতি দেখে তিনি মুগ্ধ। তিনি জানান, নির্বাচন কমিশনের পেশাদারত্ব এবং সক্ষমতার প্রতি ইইউর আস্থা আছে। বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন একটি বড় পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। এটি বাংলাদেশের নির্বাচনপ্রক্রিয়ার প্রতি তাঁদের আস্থার প্রতিফলন বলে তিনি উল্লেখ করেন।

নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে মাইকেল মিলার আরও বলেন, নির্বাচনের ভালো প্রস্তুতি দেখা যাচ্ছে। বড় জনসংখ্যার দেশে ইইউর কাজ হচ্ছে সাধারণ ভোটারদের শিক্ষিত করা। সাধারণ ভোটারদের গণভোটের প্রক্রিয়া-প্রশ্ন নিয়ে কৌতূহল রয়েছে। তবে এ বিষয়ে ইসির পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে। লজিস্টিক ও নিরাপত্তা নিয়ে চ্যালেঞ্জ রয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে মাইকেল মিলার বলেন, বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে তিনি খুবই আশাবাদী। আরেক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচনের চ্যালেঞ্জের বিষয়ে তিনি বলেন, এবার অনেক ভোটার প্রথমবারের মতো ভোট দেবেন। আগে হয়তো অনেকে ভোট দেননি, কারণ হয়তো তারা জানতেন যে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না বা সহিংসতার আশঙ্কা করেছিল। প্রায় পুরো একটি প্রজন্ম কখনো ভোট দেয়নি। এটা একটা চ্যালেঞ্জ হবে। একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট হবে, তাদের কী করতে হবে তা বুঝতে হবে। তিনি জানতে পেরেছেন যে নির্বাচন কমিশন ভোট গ্রহণের সময় বাড়াচ্ছে, এটি একটি প্রাজ্ঞ সিদ্ধান্ত।

ভোট প্রক্রিয়ায় যুক্ত অংশীজনদের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়ন কথা বলেছে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, কীভাবে এসব ঝুঁকি প্রশমিত করে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বাস্তবায়িত করা যায়– সেটি ভাবতে হবে ইসিকে।