ঢাকা শুক্রবার, ০৯ মে, ২০২৫

‘সরকারের মধ্যস্থতায় হামিদের পালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে’

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ৮, ২০২৫, ০৯:০৯ পিএম
আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক। ছবি-সংগৃহীত

সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের দেশত্যাগ ও সাবের হোসেন চৌধুরীর জামিন সরকারের সিগনাল ও মধ্যস্থতায় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদের ৫ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

নুরুল হক নুর বলেন, সাবের হোসেন চৌধুরীর জামিন থেকে শুরু করে আবদুল হামিদের পালিয়ে যাওয়া, সবই সরকারের প্রত্যক্ষ ইশারায় ঘটেছে।

তিনি বলেন, আমরা বহুবার বলেছি, দেশের এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য রাষ্ট্র সংস্কারের মধ্য দিয়ে একটি নতুন রাজনৈতিক পথের দরকার। অথচ তা না করে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে এমন কিছু লোককে নিযুক্ত করা হয়েছে, যাদের অনেকেই ফ্যাসিবাদ ও বিদেশি শক্তির এজেন্ডার সঙ্গে যুক্ত।

তিনি আরও বলেন, ‌এই উপদেষ্টা পরিষদের মধ্যে অন্তত পাঁচজন আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং আরও পাঁচজন বিদেশি দূতাবাসের প্রত্যক্ষ মদদপুষ্ট। এদের দিয়ে কোনো গণতান্ত্রিক সংস্কার সম্ভব নয়।

নুর বলেন, বিএনপি-জামায়াত শুরুতে নির্বাচনের রোডম্যাপ দাবি করেছিল। তারা সন্দেহ করেছিল, আপনারা যে পথে এগোচ্ছেন, তা দেশ ও জাতির জন্য বিপদ ডেকে আনবে। আজ সেটাই বাস্তব হচ্ছে। যদি সত্যিকারের পরিবর্তন চান, তাহলে অন্তর্বর্তী সরকারকে জাতীয় সরকারে রূপ দিন। না হলে বর্তমান কাঠামো টিকে থাকবে না।

তিনি দাবি করেন, ‘জাতীয় ঐক্য ৫ আগস্ট গঠিত হয়েছিল। আজ যারা সেই ঐক্য ভেঙেছে, তাদের জবাবদিহির আওতায় আনতেই হবে। সবকিছু নিজেদের মতো করে চালালে মানুষ মেনে নেবে, এটা ভাবার কোনো সুযোগ নেই।’

নুরুল হক বলেন, বর্তমান প্রশাসন এখনো নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে না। তথাকথিত ছাত্র সমন্বয়কদের মাধ্যমে ‘ছাত্র আধিপত্যবাদ’ কায়েম হয়েছে। তারা এখন জেলা-উপজেলায় মন্ত্রীদের চেয়েও প্রভাবশালী। এমনকি সরকারে দু’জন ছাত্র উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যাদের প্রশাসনিক ধারণাও নেই, অথচ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়, এলজিআরডির মতো দায়িত্ব পাচ্ছেন তারা।’

তিনি অভিযোগ করেন, ‘রাজনীতিবিদরা ক্ষমতায় গেলে সবকিছুকে কুক্ষিগত করার চেষ্টা করে। গত ৫০ বছরে আমরা একটি শক্তিশালী নির্বাচনব্যবস্থা তৈরি করতে পারিনি। দলীয়করণ ও প্রশাসনের দলবাজি এখনো বিদ্যমান। বিচার বিভাগও এ ধারার বাইরে নয়।’

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না করলে, যারা এখন ক্ষমতায় আছেন, তাদের বৈধতা জনগণের কাছে থাকবে না। ড. ইউনূস নিজেই বলেছেন, ছাত্ররাই তাকে ক্ষমতায় রেখেছে। তাহলে ছাত্রদের উচিত ছিল সোজা বলা- আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হলে কাউকে ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হবে না।