ঢাকা বুধবার, ২৮ মে, ২০২৫

হাসিনা না পালালে রাজনীতিকদের কী অবস্থা হতো, প্রশ্ন আমীর খসরুর

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ২৬, ২০২৫, ১০:৩৫ পিএম
সোমবার রাজধানীর ডিআরইউ মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবি-সংগৃহীত

গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার প্রস্থানের পর সেনাপ্রধানের বক্তব্যের জন্য দেশের মানুষ মুখিয়ে ছিলেন উল্লেখ করে আমির খসরু বলেছেন, ‘গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরতে সেনাপ্রধান এখন বক্তব্য দিলে তাতে সমস্যা কোথায়?’

সোমবার (২৬ মে) রাজধানীর ডিআরইউ মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। 

এ সময় সেনাপ্রধানের প্রস্তাবকে ইতিবাচক হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সেনাপ্রধান দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন।’

তিনি বলেন, ‘কারো একক সুবিধার জন্য ঐক্য গঠন সম্ভব নয়। সংস্কারের জন্য গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করাটা গ্রহণযোগ্য নয়। সংস্কারের কথা বিএনপি সাত বছর আগেই বলেছে।’

আমীর খসরু বলেন, ‘আমাদের ২৭ দফা ও যুগপৎ আন্দোলনে যারা ছিলেন, তাদের সমন্বয়ে সেটা পরে ৩১ দফায় পরিণত হয়। কাজেই সংস্কারের কথা আমাদের। যারা বাস্তবায়নের কথা বলছেন, এটা তাদের কথা নয়।’

মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার অধিকার কারো নেই উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারকে যারা ক্ষমতায় বসিয়েছিলেন, সেসব ছাত্রনেতার মধ্যে কতজন এখন ঐক্যবদ্ধ আছেন? কবে তারা জনপ্রিয় হবেন, তারপর নির্বাচনে যাবেন, এসব খেলা মানুষ বোঝে।’

‘কারো একক কৃতিত্বের জন্য জাতিকে বিভক্ত করা হলে সেটা কারো জন্য সুখকর হবে না। ইতিহাসকে স্বীকার করতে হবে। যারা মারা গেছেন, জেলবন্দি থেকে নির্যাতন সহ্য করেছেন, তাদের ভুলে গেলে হবে না।’

অগণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় থাকলে বাকস্বাধীনতার ওপর নিয়ন্ত্রণ বাড়বে বলে মনে করেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। 

‘এটা গোল্ডেন রুল। সরকার যখনই নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করবে, তখনই দেশ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রবেশ করবে। আমরা চাই, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব ছাড়ার পরও তাদের সঙ্গে রাজনৈতিক সরকার কাজ করতে পারবে, এমন পরিবেশ অব্যাহত থাকবে।’

৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে নির্যাতিত সাংবাদিক, বন্ধ হয়ে যাওয়া গণমাধ্যম, রাজনীতিবিদ, পঙ্গুত্ববরণকারী, আহত-নিহত ছাত্র-জনতাসহ অনেকের অবদান আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এসব অবদানের স্বীকৃতি দিতে হবে, কৃতিত্ব দিতে হবে। তবেই সবাইকে নিয়ে জাতীয় ঐক্য বজায় রাখা সম্ভব হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে যতদিন পর্যন্ত গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা না হবে, মিডিয়া ততদিন স্বাধীন হবে না। অগণতান্ত্রিকভাবে যারা ক্ষমতায় থাকে, তারা মিডিয়াকে চাপে রাখে।’

শেখ হাসিনার আমলে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের কোনো বক্তব্য দেওয়ার জন্যও খুঁজে পাওয়া যেত না মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘হাসিনা না পালালে এখন রাজনীতিবিদদের কী অবস্থা হতো? কারো ফাঁসি, কেউ আয়নাঘরে বা কেউ আজীবন জেলে থাকতেন। কিন্তু উপদেষ্টা পরিষদের লোকেরা কোথায় থাকতেন? তারা নিজ নিজ কাজেই ব্যস্ত থাকতেন।’