আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) একাধিকবার চীন সফর করেছে। সম্প্রতি দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে একটি দশ সদস্যের প্রতিনিধি দল চীন সফর শেষে দেশে ফিরেছে।
সফর শেষে বিএনপি বলেছে, এই সফরের মধ্য দিয়ে চীনের সঙ্গে তাদের রাজনৈতিক ও কৌশলগত সম্পর্ক আরও জোরদার হয়েছে।
মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের জানান, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক আরও গভীর ও কার্যকর হচ্ছে। পারস্পরিক বোঝাপড়ার জায়গাগুলো আরও সুদৃঢ় হয়েছে।
প্রতিনিধি দলে থাকা স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বিবিসি বাংলাকে বলেন, সফরটি খুবই ফলপ্রসূ হয়েছে। সামনে আমরা যদি সরকার গঠন করি, তখন যাতে চীনের সঙ্গে ধারাবাহিক সম্পর্ক বজায় থাকে, সে বিষয়েই আলোচনা হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, বিএনপির এই সফর শুধু রাজনৈতিক সৌজন্য নয়, বরং কৌশলগত বার্তাবাহীও। তারা মনে করছেন, সরকার পরিবর্তনের পর চীনের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন এবং নিজেদের একটি গ্রহণযোগ্য ভবিষ্যৎ শক্তি হিসেবে তুলে ধরতে চাচ্ছে বিএনপি।
চীনে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ আহমদ বলেন, এই সফরের মাধ্যমে বিএনপি দুটি বিষয় নিশ্চিত করতে চায়- প্রথমত, চীনের দৃষ্টিভঙ্গি বোঝা এবং দ্বিতীয়ত, চীনের স্বার্থের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে দলটি কতটা প্রস্তুত, তা তুলে ধরা।
এটি ছিল আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিএনপির তৃতীয় দফার চীন সফর। এর আগে ২০২৪ সালের নভেম্বরে আসাদুজ্জামান খান রিপনের নেতৃত্বে এবং ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে আবদুল মঈন খানের নেতৃত্বে বিএনপি নেতারা চীন সফর করেন। এসব সফরে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হয়।
এ ছাড়া, আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর বিএনপির পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীসহ আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দলও চীন সফর করেছে, যা রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এসব সফরের মধ্য দিয়ে বিএনপি চীনের সঙ্গে ভবিষ্যৎ সরকারের সম্পর্ক জোরদার করতে চাইছে এবং একই সঙ্গে একটি বহুমুখী ও ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতির বার্তা দিচ্ছে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
-20250629120131.webp "সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম। ছবি- সংগৃহীত")
-20250623201808.webp)
-20250628130632.webp)
-20250626130903.webp)
আপনার মতামত লিখুন :