ডাকসু নির্বাচনে প্যানেল ঘোষণা করল ইসলামী ছাত্র আন্দোলন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পরপরই সবার আগে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করেছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন। 

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই প্যানেল প্রকাশ করে সংগঠনটি।

আগামী ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ডাকসু নির্বাচনের আগে এটাই ছিল কোনো ছাত্রসংগঠনের পক্ষ থেকে দেওয়া প্রথম আনুষ্ঠানিক প্রার্থী তালিকা। তার আগেই ইসলামী ছাত্র আন্দোলন তাদের নির্বাচনী প্রস্তুতির ধারাবাহিকতায় সর্বপ্রথম প্যানেল প্রকাশ করে নজর কাড়ল।

ডাকসু নির্বাচন: প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় যারা

বিস্তারিত পড়ুন

সংগঠনের পক্ষ থেকে ভিপি (সহসভাপতি) পদে মনোনয়ন পেয়েছেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ঢাবি শাখার সাবেক সভাপতি ইয়াসির আরাফাত। জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদে রয়েছেন খায়রুল আহসান মারজান এবং এজিএস (সহ-সাধারণ সম্পাদক) পদে আছেন সাইফ মাহমুদ আলাউদ্দিন।

প্যানেলে আরও রয়েছেন: আবু বকর (শিক্ষা ও গবেষণা), মোহাম্মদ আলী (ইসলামিক স্টাডিজ), মোসা. হাবিবা (ভাষাবিজ্ঞান), প্লাবন আহমেদ (ইইই), আ. রহমান মাহফুজ (ইসলামিক স্টাডিজ), ইলিয়াস তালুকদার (আইবি), জুরাইয়া আক্তার (মলিকুলার সাইন্স), মুঈনুল ইসলাম (ইতিহাস), ইয়াসিন আরাফাত (সমাজবিজ্ঞান), ইমরান হোসাইন (ব্যাংকিং), ইসমাইল হোসাইন (ইতিহাস), সাব্বির আহমেদ (ইতিহাস), মানসুরুল হক শান্ত (ফিন্যান্স), শাহরিয়ার জাবির (আইন), ওমর ফারুক (ইসলামিক স্টাডিজ), আফজাল হোসাইন সিয়াম (আরবি), নূরুল জান্নাত মান্না (আরবি), ইকরামুল কবির (ইসলামিক স্টাডিজ), আরিয়ান মাহমুদ রাসেল (ইসলামিক স্টাডিজ), মোহাম্মদ রিয়াদ (ওএসএল), রেজাউল করিম (আরবি), এরফান মোহাম্মদ (জার্নালিজম), জাকিয়া মুন (প্রিন্টিং অ্যান্ড পাবলিকেশন), আব্দুর রহিম (ইসলামিক স্টাডিজ) এবং আব্দুর রহমান মাহফুজ (ইসলামিক স্টাডিজ)।

সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন তাদের নির্বাচনি ইশতেহারও তুলে ধরে। এতে বলা হয়, আমাদের প্যানেল থেকে নির্বাচিত হলে নারী শিক্ষার্থীদের হলে বৈদ্যুতিক পাখা অথবা শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা, রেজিস্ট্রার অফিসকে ডিজিটালাইজড করা; নিরাপদ, বৈষম্যহীন ও সহনশীল শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত, শতভাগ আবাসন সুবিধা ও আবাসন মান উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া, গবেষণাভিত্তিক স্কলারশিপ ও ল্যাব সুবিধা বৃদ্ধি, ডিজিটাল লাইব্রেরি ও স্মার্ট ক্লাসরুমের ব্যবস্থা, অনলাইন ক্লাস ও পরীক্ষা সিস্টেম এবং তৎপরবর্তী কার্যক্রমগুলোকে আরও উন্নত ও সহজকরণ, বিভাগ ও হল পর্যায়ে দুর্নীতি ও হয়রানি বন্ধে ছাত্র-অভিযোগ সেল গঠন।

মেডিক্যাল ব্যবস্থাকে উন্নত করার পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তায় হেল্পলাইন ও কাউন্সেলিং সেবা চালু, ক্যারিয়ার গাইডেন্স, ইন্টার্নশিপ ও স্কিল ট্রেনিং নিশ্চিত, প্রতিটি শিক্ষার্থীর মাথাপিছু ব্যয়কে যথাযথ স্বচ্ছতার সহিত কাজে লাগানো এবং সকল ছাত্রসংগঠনের রাজনৈতিক সহাবস্থান ও গঠনমূলক ছাত্ররাজনীতি প্রতিষ্ঠা করাসহ সকলকে সাথে নিয়ে একটি গণমুখী ক্যাম্পাস গড়ে তুলতে প্রশাসনকে বাধ্য করার দীপ্ত প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।