বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা নিজের বক্তব্য, ব্যবহার ও শব্দ চয়নের কারণে যদি কারও কষ্ট হয়ে থাকে, তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
বুধবার (২৭ আগস্ট) বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল গ্লোবাল টিভির একটি টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি এই কথা বলেন।
রুমিন ফারহানা বলেন, ‘আমার কথায়, আমার আচরণে বা শব্দচয়নে যদি কেউ আঘাত পেয়ে থাকেন, আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমি যদি নিজেকে আরও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারতাম, তাহলে ভালো হতো। তবে দিনশেষে আমি একজন মানুষ, আর মানুষেরও ধৈর্যের সীমা থাকে। বহুদিন ধরে কেউ যদি ট্রলের শিকার হয়ে থাকে, তাহলে কখনো কখনো প্রতিক্রিয়া দেওয়া স্বাভাবিক।’
তিনি বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের জীবন মোটেও সহজ নয়, নারী রাজনীতিবিদদের জীবন আরও কঠিন। যারা ভোকাল এবং স্পষ্টভাষী নারী রাজনীতিক, তাদের পথ একেবারেই মসৃণ নয়। সব বিবেচনায় আমি এখনও নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি।’
গত কয়েকদিন ধরে রুমিন ফারহানা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর মধ্যে কথার লড়াই চলছিল। এনসিপি নেতার ‘আওয়ামী লীগ বিষয়ক সম্পাদক’ উল্লেখের পর সর্বশেষ রুমিন ফারহানা হাসনাতকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। তবে রুমিন ফারহানা বলছেন, তার বক্তব্যকে অতিরিক্ত রাজনৈতিক বা ব্যক্তিগতভাবে ব্যাখ্যা করা ঠিক নয়।
রুমিন ফারহানা টকশোতে আরও বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিক ক্ষেত্রে এমন কিছু ভাষা ব্যবহার করি যা সাধারণত বস্তির ভাষার সঙ্গে মিল খায়। প্রতিপক্ষকে আক্রমণ বা ফ্রেম করার ভাষা কখনো কখনো স্ল্যাম এরিয়ার ভাষার মতো হয়ে যায়। আমি যে মন্তব্য করেছি, সেটি সেই প্রেক্ষাপটেই হয়েছে। আমার উদ্দেশ্য কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আঘাত করা নয়।’
বিএনপির এই নেত্রী স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি কেউ আমার অযৌক্তিক কথায় বা অযৌক্তিক ব্যবহারে কষ্ট পেয়ে থাকেন, আমি অবশ্যই দুঃখিত। আমি ক্ষমা চাইছি এবং আশা করি সবাই বিষয়টিকে যথাযথভাবে বুঝবেন।’
রুমিন ফারহানা একজন রাজনীতিবীদ এবং আইনজীবী। তিনি সংরক্ষিত নারী আসন-৫০ থেকে নির্বাচিত একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন। তার বাবা অলি আহাদ একজন স্বনামধন্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং স্বাধীনতা পুরস্কার বিজয়ী ভাষা সৈনিক। রুমিন ফারহানা মূলত বাবার হাত ধরেই রাজনীতিতে প্রবেশ করেন এবং নিজস্ব নেতৃত্ব ও বলিষ্ঠতা দিয়ে তিনি রাজনৈতিক অঙ্গনে সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন।
উল্লেখ্য, রুমিন ফারহানা নারী রাজনীতিতে নিজের অবস্থান ও ভোকাল ভূমিকার কারণে প্রায় সময়ই সমালোচনার মুখে থাকেন। তবে তিনি মনে করেন, জনমত ও সমালোচনার মধ্য দিয়েই রাজনৈতিক সচেতনতা ও নেতৃত্বের ধারা বজায় থাকে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন