আগামী নির্বাচনে জনগণ ইসলামপন্থিদের ক্ষমতায় দেখতে চায় বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন। দলটি জাতীয় স্বার্থ ও ইসলামের রক্ষার্থে সাত দফা দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশের জনগণ ও ইসলামের স্বার্থে উত্থাপিত দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে।
খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান হামিদী অভিযোগ করেন, বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার আলেম সমাজসহ সর্বস্তরের মানুষের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালিয়েছে। শাহবাগ, ২০২১ সালের হত্যা এবং ২০২৪ সালের আন্দোলনের হত্যাকাণ্ডের বিচার আজও হয়নি। তিনি আরও বলেন, বিদেশে পাচার হওয়া হাজার কোটি টাকা ফেরত আনার উদ্যোগও ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি সমালোচনা করে বলেন, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নাচ-গানের শিক্ষক নিয়োগ জনগণের চাহিদার বিপরীতে নেওয়া হয়েছে। অবিলম্বে প্রজ্ঞাপন বাতিল করে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আলেমদের ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে।’ এ ছাড়াও, নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি।
খেলাফত আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মহিউদ্দিন বলেন, ‘আজকের এই কর্মসূচি ইসলাম বিরোধীদের আইনের আওতায় আনা, শাপলা চত্বর ও ২০২৪ সালের গণহত্যার বিচার এবং আলেমদের ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগসহ সাত দফা দাবিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দেশের মানুষ নতুন কোনো ফ্যাসিবাদ চায় না, আগামী নির্বাচনে ইসলামপন্থিদের ক্ষমতায় দেখতে চায়।’
সমাবেশে দলের সহকারী মহাসচিব ফিরোজ আশরাফী এবং যুগ্ম সম্পাদক রুকুনুজ্জামানও উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের সাত দফা দাবিগুলো হলো:
- জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রতিষ্ঠা এবং তার ওপর ভিত্তি করে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা।
- শাপলা চত্বর ও ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করা।
- নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা, যাতে নির্বাচনি দায়িত্বে সবাই সমান সুযোগ পায়।
- বিদেশে পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনা এবং অর্থনৈতিক ক্ষতি পূরণের উদ্যোগ নেওয়া।
- প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ, নাচ-গানের শিক্ষক নিয়োগ বাতিল করা।
- নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে নিয়োগ, যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত হয়।
- ইসলাম বিরোধীদের আইনের আওতায় আনা এবং রাজনৈতিক প্রভাবশালী ফ্যাসিবাদী দল ও নেতাদের কার্যক্রম সীমিত করা।