বিএনপি চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিলেও দলটির বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা।
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, আমরা অস্বীকার করিনি, বরং চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে স্বীকার করে পদক্ষেপ নিয়েছি। বিএনপি চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ৪ হাজার ৫০০ জনকে বহিষ্কার করেছে। অথচ আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার থেমে নেই।
রুমিন বলেন, এই দেশে ৫৩ বছর ধরে আমরা ‘অস্বীকারের সংস্কৃতি’ দেখে এসেছি। কিন্তু বিএনপি সেই সংস্কৃতি ভাঙতে চায়। আমি নিজেই দলের একজন পদধারী কর্মী হিসেবে অন-এয়ারে চাঁদাবাজির বিষয়ে কথা বলেছি। এটা প্রমাণ করে, বিএনপি সুশাসনের পক্ষে।
তিনি অভিযোগ করেন, বহিষ্কৃত চাঁদাবাজদের মধ্যে কেউ কেউ জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দিয়ে ফুলেল সংবর্ধনা পেয়েছেন। আমরা চাঁদাবাজদের বহিষ্কার করেছি, স্বীকার করেছি। কিন্তু জামায়াতে ইসলামীর ক্ষেত্রে দেখবেন, তারা কোনোদিন স্বীকার করে না।
রুমিন ফারহানা বলেন, বিএনপি একটি বড় ও অন্তর্ভুক্তিমূলক (অ্যাকমোডেটিভ) দল। সবাই মনে করে, বিএনপি ক্ষমতায় যাবে, তাই অনেক ধরনের মানুষ বিএনপিতে আসতে চায়। আর জামায়াত বলে তারা সৎ লোকের শাসন চায়, তাহলে তাদের দলে ৬৫০ জন চাঁদাবাজ কীভাবে এলো?
তিনি আরও বলেন, জামায়াত কোনোদিন স্বীকার করে না যে তাদের দলে চাঁদাবাজ আছে। তাদের কাছে আপনি প্রশ্ন করলে, তখন তারা শরিয়া আইনের কথা বলবে না। অথচ শরিয়ায় তো কারো বিষয়ে যাচাই ছাড়া কিছু বলা অনুমোদিত নয়।
বিএনপিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে চাঁদাবাজ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার প্রপাগান্ডা চলছে বলে অভিযোগ করে রুমিন বলেন, একটা মিথ্যা বারবার বললে মানুষ সেটা বিশ্বাস করতে শুরু করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এখন ফার রাইটদের দখলে, যারা ছোট ছোট নিউজ পোর্টাল খুলে বিএনপির নেতিবাচক দিকগুলো সামনে আনছে।
রুমিন আফসোস করে বলেন, আমি জানি না কেন বিএনপি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের অবস্থানটি যথাযথভাবে তুলে ধরতে পারছে না।