ভারত কখনোই গণতন্ত্রের বা স্বাধীনতার পক্ষে ছিল না। নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্য তারা সবসময় বাংলাদেশকে ব্যবহার করেছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী নাগরিক পরিষদের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বিএনপি, জামায়াতসহ সব রাজনৈতিক দল তাদের নিজ নিজ কথা বলবে। কিন্তু একটি বিষয়ে সবার ঐক্য থাকা জরুরি। তা হলো জনগণের ভোটে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা। জনগণ তিনটি নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি; ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে, ভোটের নামে তামাশা হয়েছে। তাই আসন্ন নির্বাচনটি স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য ও অবাধ হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, ভারত বিশ্বজুড়ে প্রচার চালাচ্ছে যে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। অনেক হিন্দু নাগরিক নিজেরাই সংবাদ সম্মেলন করে বলছেন, ভারতের এই অভিযোগ সত্য নয়। তাই ভারত সম্পর্কে আমাদের সতর্ক ও সজাগ থাকতে হবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশবিরোধী শক্তি ও পার্শ্ববর্তী দেশের এক ভয়ংকর প্রভাবশালী গোষ্ঠী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে, যেখানে শেখ হাসিনা আশ্রয় নিচ্ছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে পথে যাওয়ার কথা, তা হলো তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন হওয়া। কিন্তু সেটি হয়নি। সরকার আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আমরা বিশ্বাস করতে চাই, এই ফেব্রুয়ারির মধ্যেই যেন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। অন্যথায়, বাংলাদেশবিরোধী যে ষড়যন্ত্র চারদিকে চলছে, সেখানে পার্শ্ববর্তী দেশের একটি ভয়ংকর শক্তি কাজ করছে; যেখানে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা আশ্রয় নিয়েছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী নাগরিক পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. মাইনুল ইসলাম তালুকদার (বাদল)।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, তাঁতি দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ড. কাজী মনিরুজ্জামান (মনির), দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে. এম. রকিবুল ইসলাম রিপন, তাঁতি দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো. মজিবুর রহমান টোটন প্রমুখ।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন