অবিলম্বে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের জন্য আদেশ জারি এবং সেই আদেশের ওপর নভেম্বরের মধ্যেই গণভোট আয়োজনসহ পাঁচ দফা দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলনসহ সমমনা আটটি রাজনৈতিক দল।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে জামায়াতে ইসলামীসহ যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলোর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুস আহমাদ।
তিনি সমমনা দলগুলোর পক্ষে আগামীকাল ৩০ অক্টোবর পাঁচ দফা দাবি আদায়ে নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি প্রদান এবং ৩ নভেম্বর বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণার কথা বলেন।
৮টি রাজনৈতিক দলের ঘোষিত ৫ দফা দাবি:
১. অবিলম্বে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের জন্য আদেশ জারি করতে হবে এবং ওই আদেশের ওপর আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যেই গণভোট আয়োজন করতে হবে।
২. আগামী জাতীয় নির্বাচনে সংসদের উভয় কক্ষে বা উচ্চকক্ষে অনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (PR) পদ্ধতি চালু করতে হবে।
৩. অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সব রাজনৈতিক দলের জন্য সমান সুযোগ বা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে।
৪. ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম, নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করতে হবে।
৫. স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করতে হবে।
লিখিত বক্তব্যে সদ্য ঘোষিত জুলাই সনদ বাস্তবায়ন রূপরেখা নিয়ে বলা হয়, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ইতোমধ্যে প্রধান উপদেষ্টার কাছে ‘জুলাই সনদ’ বাস্তবায়নের সুপারিশমালা জমা দিয়েছে। গণভোট আয়োজনের বিষয়ে সকল পক্ষ একমত হয়েছে। বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, গণভোট ছাড়া জুলাই জাতীয় সনদ আইনগতভাবে টেকসই ভিত্তি পাবে না। তাই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে, অর্থাৎ নভেম্বর মাসের মধ্যেই গণভোট সম্পন্ন করা জরুরি।
পিআর পদ্ধতির পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে বলা হয়, কালো টাকার প্রভাব, ভোটকেন্দ্র দখল, পেশিশক্তির প্রদর্শন, অনিয়ম ও অপতৎপরতা রোধ, পাশাপাশি গুণগতমানসম্পন্ন সংসদ ও দক্ষ আইনপ্রণেতা তৈরি এবং প্রতিটি ভোটের সঠিক মূল্যায়ন নিশ্চিত করতে অনুপাতিক প্রতিনিধিত্বভিত্তিক নির্বাচন অপরিহার্য।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, কলামিস্ট, লেখক, গবেষক ও শিক্ষাবিদসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনরত রাজনৈতিক দলসমূহের নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন: জামায়াতে ইসলামী সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুস আহমদ, খেলাফত মজলিস মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, বাংলাদেশ নেজামে ইসলামী পার্টির মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইজহার, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, জাগপা মুখপাত্র ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির মহাসচিব নিজামুল হক নাঈম।


