বুধবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: নভেম্বর ১১, ২০২৫, ১১:৩৬ পিএম

আ.লীগ বাস্তবে নয়, লকডাউন পালন করছে ফেসবুকে : গণঅধিকার পরিষদ 

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: নভেম্বর ১১, ২০২৫, ১১:৩৬ পিএম

আওয়ামী লীগের লকডাউন কর্মসূচির প্রতিবাদে গণঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভ মিছিল। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

আওয়ামী লীগের লকডাউন কর্মসূচির প্রতিবাদে গণঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভ মিছিল। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ বাস্তবে দেশে উপস্থিত নেই, তারা কেবল ফেসবুকে ‘লকডাউন’ পালন করছে বলে অভিযোগ করেছেন গণঅধিকার পরিষদের শীর্ষ নেতারা।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাতে পল্টনে গণঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে এই অভিযোগ করেন দলটির নেতারা।

সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, ‘নিষিদ্ধ সংস্থা আওয়ামিলীগ বাস্তবে নেই; তারা ফেসবুকে লকডাউন পালন করতে পারে, কিন্তু বাস্তবে এমন উত্‍পাটন করাতে গেলে জনগণ তাদের গণপিটুনি দেবে।’
 
তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টের পর এই দলটি দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, তাদের শীর্ষ নেতারা বিদেশে নিরাপদ জীবনযাপন করছেন, আর রাজনীতির মাঠে থাকা সচেতন কর্মীরা আজ বিপদে রয়েছেন।’ 

গণঅধিকার পরিষদ নেতা বলেন, ‘সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো যে ধরনের উসকানিমূলক বার্তা রয়েছে, সেগুলো নির্দিষ্ট কিছু পলাতক নেতার নির্দেশেই ছড়ানো হচ্ছে বলে তিনি মনে করেন।’

সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের আরেক উচ্চপদস্থ নেতা মাহফুজুর রহমান খান বলেন, “আওয়ামিলীগ ভারতে পালিয়েছে; তারা আর ফিরে আসতে পারবে না। শুধুমাত্র রায় ঘোষণা করা যথেষ্ট নয় — দোষীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা দরকার।” তার ভাষণে অতীতের মানবতাবিরোধী অভিযোগগুলোর উল্লেখ করে কঠোর শাস্তির দাবি জোরালোভাবে করা হয়।

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন রবিউল হাসান, ছাত্র অধিকার পরিষদের দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ আলী ত্বোহা এবং ছাত্র নেতা বাবু খান; তারা সামাজিক অস্থিরতা ও সাইবার-প্ল্যাটফর্মে ছড়ানো মিথ্যা তথ্য প্রতিরোধে প্রশাসনকে তৎপর থাকার আহ্বান জানান। বক্তারা অভিযোগ করেন, ফেসবুক-ভিত্তিক কর্মসূচি দিয়ে সাধারণ মানুষকে পথে নামাতে উসকানি দেওয়া হচ্ছে, যা বাস্তবে বড় ধরনের সংঘাতের দ্রুত সূত্রপাত ঘটাতে পারে।

বক্তারা প্রশাসনকে সতর্ক করে বলেন, উসকানিমূলক বার্তা ও ভুয়া কর্মসূচি দেশের শান্তি নষ্ট করতে পারে; তাই প্রশাসনকে সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং এবং প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে দ্রুততর হতে হবে। এছাড়া তারা অনুরোধ করেন সাইবার জগতে যে বিকৃত তথ্য ছড়ানো হচ্ছে তার উৎস চিহ্নিত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

বিক্ষোভ শেষে সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের মত প্রকাশের অধিকার বজায় রাখবেন এবং কোনো প্ররোচনায় লিপ্ত হবেন না; তবে দেশের আইনশৃঙ্খলা ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা সুরক্ষায় যে কোনো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের পাশে থাকবে।
 

Link copied!