বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। উন্নতি বা অবনতি- কোনোটাই স্পষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। টানা এক সপ্তাহ ধরে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন।
চীন ও যুক্তরাজ্যের চিকিৎসক
চীন ও যুক্তরাজ্য থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ঢাকায় এসে খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন। গতকাল বুধবার রাতে চীনের চার সদস্যের দ্বিতীয় চিকিৎসক দল এসে মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে বৈঠক করে।
এ ছাড়া লন্ডন ক্লিনিকের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রিচার্ড বিল গতকাল বুধবার সকালেই ঢাকায় পৌঁছে দুপুরে এভারকেয়ার হাসপাতালে যান।
মেডিকেল বোর্ডের নিয়মিত বৈঠক
প্রতিদিন রাতে ঘণ্টা দেড়েক বৈঠক করেছে মেডিকেল বোর্ড। দেশি-বিদেশি প্রায় দেড় ডজন চিকিৎসক এতে যুক্ত হন। লন্ডনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরাও ভার্চুয়ালি মতামত দিচ্ছেন। বৈঠকে নতুন করে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সিদ্ধান্ত হয় এবং রিপোর্ট অনুযায়ী চিকিৎসা সামঞ্জস্য করা হচ্ছে।
চিকিৎসায় স্থিতিশীলতা
বোর্ডের চিকিৎসকদের মতে, খালেদা জিয়ার অবস্থা স্থিতিশীল। মেকানিক্যাল ভেন্টিলেশনের মাধ্যমে ফুসফুসে স্বাভাবিকভাবে বাতাস প্রবাহ নিশ্চিত করা হচ্ছে।
গত বুধবার বিকেলে তার কিডনি কার্যক্রম সচল রাখতে ডায়ালাইসিস করা হয়। কিছুটা সাড়া দিলেও তা আশানুরূপ উন্নতি হিসেবে দেখা যাচ্ছে না। বিভিন্ন প্যারামিটার ওঠানামা করছে।
পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা ও অন্যান্যরা
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়ে তার স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে দুপুরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতারও হাসপাতালে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করেন।
হাসপাতালের সামনে ভিড়
হাসপাতালের সামনে প্রতিদিনের মতোই দলীয় নেতাকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের ভিড় ছিল। নিরাপত্তায় এসএসএফ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। অনুমতি ছাড়া কাউকে হাসপাতালে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
বিদেশে নেওয়া নিয়ে সিদ্ধান্ত
চিকিৎসায় আশানুরূপ উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত তাকে বিদেশে নেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে না বলে জানিয়েছে মেডিকেল বোর্ড। তবে পরিবারের সদস্য এবং দলের শীর্ষ নেতারা উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
গত জানুয়ারিতে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। সেখানে চার মাস অবস্থান শেষে গত ৬ মে দেশে ফেরেন।

