জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের দায়ে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। চলতি বছরের মে মাসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। তবে প্রকাশ্যে না থাকলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এখনো সক্রিয় রয়েছেন দলটির অনেক নেতাকর্মী। বিশেষ করে সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা ও নানা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ফেসবুক পেজ থেকে। এর মধ্যে দলটির ভেরিফায়েড অফিসিয়াল পেজটি সবচেয়ে সক্রিয়।
মেটার তথ্য অনুযায়ী, ২০১৩ সালের ৩০ আগস্ট চালু হওয়া এই অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ বর্তমানে ৮টি অ্যাকাউন্ট থেকে পরিচালিত হচ্ছে। এর মধ্যে ৩টি অ্যাকাউন্টের অবস্থান ভারতে আর বাকি ৫টি অ্যাকাউন্টের অবস্থান বাংলাদেশে।
একইভাবে, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ফেসবুক পেজটিও বাংলাদেশ থেকে পাঁচটি ও ভারত থেকে একটি অ্যাকাউন্ট থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। ২০১৪ সালের ১৬ মে খোলা এই পেজে ৫ আগস্টের পূর্ব পর্যন্ত নিয়মিত পেইড বিজ্ঞাপন দেখা গেলেও বর্তমানে মেটা অ্যাড লাইব্রেরিতে কোনো বিজ্ঞাপন পাওয়া যাচ্ছে না।
এর আগে, গত বছরের নভেম্বরে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেন। পরবর্তীতে দলের শীর্ষ ও মধ্যম সারির অনেক নেতাকর্মীও সীমান্ত পেরিয়ে ভারতসহ বিভিন্ন দেশে গা ঢাকা দেয়। ফলে দলীয় কার্যক্রম মূলত দেশ ছেড়ে বাইরে থেকেই পরিচালিত হচ্ছে বলে জানা যায়।