শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ১৫, ২০২৫, ০৭:৩০ পিএম

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ ড্যাবের সংবাদ সম্মেলন

তেজগাঁওয়ে ‘রোজা হত্যার’ সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার দাবি

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ১৫, ২০২৫, ০৭:৩০ পিএম

তেজগাঁওয়ে ‘রোজা হত্যার’ সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার দাবি

ছবি-রূপালী বাংলাদেশ

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে পাঁচ বছর বয়সী শিশু রোজা মনির হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ড্যাব আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

উল্লেখ্য, গত ১২ মে তেজগাঁওয়ের বাসা থেকে নিখোঁজ হয় শিশু রোজা মনি। পরিবারের খোঁজাখুঁজির পর ১৩ মে বিজয় সরণি ফ্লাইওভারের নিচে ময়লার স্তূপে একটি বস্তার ভেতরে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পাঠানো হয় শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে।

ড্যাব উত্তর শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম বলেন, ‘এ ঘটনা শুধু নির্মমই নয়, অমানবিক। আমরা সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছি। সরকারের উচিত ছিল মরদেহ সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়া। কিন্তু হতদরিদ্র পরিবারটি বাধ্য হয়ে একটি সিএনজিতে করে মরদেহ বাসায় নিয়ে যায়। এটি জাতি হিসেবে আমাদের জন্য লজ্জার।’

তিনি আরও বলেন, ‘তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফার মধ্যে স্বাস্থ্যখাত নিয়ে যে নির্দেশনা আছে, সেটি বাস্তবায়ন করা গেলে এ ধরনের অমানবিকতা বন্ধ হবে। আমরা চাই একটি মানবিক স্বাস্থ্যনীতি ও সেবাব্যবস্থা।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ড্যাবের সভাপতি ডা. মো. মুজিবুর রহমান। তিনি বলেন, ‘রোজা মনির মতো শিশু দিন-দুপুরে নিখোঁজ হচ্ছে। আবার বস্তায় ভরে ফেলা হচ্ছে। এটা কেমন রাষ্ট্র? এ হত্যাকাণ্ডের জন্য শুধু অপরাধী নয়, রাষ্ট্রকেও দায় নিতে হবে।’

তিনি জানান, রোজার পরিবার নরসিংদীর রায়পুরা থেকে কিছুদিন আগে ঢাকায় আসে। মা গৃহকর্মী। বোনেরা পোশাক কারখানায় কাজ করেন। রোজার গলায় নাইলনের দড়ি পেঁচানো ছিল এবং শরীরে ফুটে ছিল গরম পানির দগদগে ক্ষত।

তেজগাঁও থানার ওসি মোবারক হোসেন বলেন, ‘শিশুটিকে হত্যার পর বস্তায় ভরে ফেলে যাওয়া হয়। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’

থানার এসআই আবদুল কাদের বলেন, ‘রোজার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, যা নির্মম নির্যাতনেরই প্রমাণ।’

দ্রুত সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে দোষীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানায় ড্যাব। পাশাপাশি নিহত রোজা মনির পরিবারকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অনুদান দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

ডা. মুজিবুর রহমান বলেন, ‘শুধু গরিব বলেই যেন একজন শিশুর লাশ সিএনজিতে বহন করতে হয়- এটি হতে পারে না। আমাদের সমাজে ধনী-গরিব ভেদে বিচার ও মর্যাদায় বৈষম্য চলতে দেওয়া যায় না।’

তিনি আরও বলেন, ‘মাগুরায় শিশু আছিয়া ধর্ষণের ঘটনার মতোই রোজা মনির ঘটনায়ও সারা দেশে প্রতিবাদ হওয়া উচিত। আমরা ড্যাবের পক্ষ থেকে সেই ডাক দিচ্ছি।’

Link copied!