ঢাকা বুধবার, ১৬ জুলাই, ২০২৫

নিবন্ধন না পেয়ে এনসিপির প্রতিক্রিয়া

মোহাম্মদ সোহেল রানা
প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২৫, ০৭:২৬ পিএম
এনসিপি ও ইসির লোগো। ছবি- সংগৃহীত

নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রাথমিক যাচাইবাছাইয়ে উত্তীর্ণ হতে পারেনি। ফলে এনসিপিসহ অন্য দলগুলোকে ১৫ দিন সময় দিয়ে ঘাটতি পূরণে চিঠি দিচ্ছে ইসি।

তবে কী কারণে এসসিপি নিবন্ধন পেল না এবং পরবর্তী পদক্ষেপ কী, এসব বিষয় নিয়ে দৈনিক রূপালী বাংলাদেশের অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেছেন দলটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব লুৎফর রহমান।

তিনি বলেন, ‘ইসির যে অবস্থান সেটা নিয়ে আমরা আগে থেকেই কথা বলে আসছি। ইতিপূর্বে ইসি বেশ বিতর্কিত অবস্থান নিয়েছে এবং একটা দলের দিকে ঝুঁকে গেছে। আমরা ইসি সংস্কারের আলাপ সেই শুরু থেকেই বলতেছি। কারণ এই ইসিটা গঠন হয়েছে ফ্যাসিবাদি কাঠামোর ওপর। শেখ হাসিনা যে কাঠামো রেখে গিয়েছিল, কোনো সংস্কার ছাড়াই ইসি গঠন হয়েছে। এই ইসির মাধ্যমে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না।

আপনারা ইতিপূর্বে দেখেছেন যে, আমাদের যে প্রতীকের বিষয়টি কোনো ধরনের আইনি বাধ্যবাধকতা না থাকার পরেও তারা প্রতীক দেয়নি। যেখানে শাপলা প্ৰতীক দেওয়ার ব্যাপারে তারা অনীহা প্রকাশ করছে এবং একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা আইন বহির্ভূত। তারা কোনো ব্যাখ্যাও দেয়নি।

এনসিপি মনে করে যে, এই ইসি আসলে একটি বিশেষ দলের প্রতিনিধিত্ব করতেছে। ৪৩ হাজার পৃষ্ঠার ডকুমেন্টস জমা দেওয়ার পরও প্রাথমিক বাছাইয়ে বাতিল করেছে। এতে আমরা পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারছি, এই ইসির মাধ্যমে কোনো সুষ্ঠু ইলেকশন করা সম্ভব না।’

আপনারদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রথমতো আমরা দেখব কেন তারা বাদ দিয়েছে এবং সামগ্রিক বিষয়গুলো দলীয় ফোরামে আলোচনা করা হবে। এরপর রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করা হবে। তবে এই ইসির প্রতি আমাদের কোনো আস্থা নেই।’

আরেক প্রশ্নের উত্তরে এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব বলেন, ‘আমাদের দলকে ইসি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বাদ দিয়েছে।’

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির আহ্বায়ক পদে নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব পদে আখতার হোসেনকে রেখে দলের কমিটির শীর্ষ পদে আছেন ১১ জন।

এনসিপির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব নিতে তরুণ ছাত্রনেতা নাহিদ অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পদও ছেড়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করা নাহিদ ইসলাম ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক।