সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। শ্বাসকষ্ট ও অন্যান্য জটিলতা বাড়ায় তাকে ইলেকটিভ ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। এভারকেয়ার হাসপাতাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
চিকিৎসাবিজ্ঞানে ইলেকটিভ ভেন্টিলেশন মানে পরিকল্পিত যান্ত্রিক শ্বাস-প্রশ্বাস সহায়তা। এতে ভেন্টিলেটর রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ফুসফুস ও শ্বাসপ্রশ্বাসের পেশিকে বিশ্রাম দেয়। ফলে শরীরের অন্যান্য অঙ্গও উপকৃত হয়। প্রয়োজনের ক্ষেত্রে এটি জীবনরক্ষাকারী চিকিৎসা হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, দীর্ঘ ও জটিল অস্ত্রোপচারের পর শ্বাসযন্ত্র ঠিকমতো কাজ করবে কি না নিশ্চিত নয়। সেক্ষেত্রে রোগীকে সাধারণত ১০-১২ ঘণ্টা ইলেকটিভ ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। এটি শরীরকে সেরে ওঠার সময় দেয় এবং ওষুধ-চিকিৎসা কার্যকর হওয়ার সুযোগ তৈরি করে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভেন্টিলেটর শ্বাসযন্ত্রের পেশির ওপর চাপ কমিয়ে অক্সিজেন সরবরাহ ও কার্বন ডাই অক্সাইড অপসারণে সহায়তা করে। এর ফলে মস্তিষ্ক, হৃদপিণ্ড, কিডনি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ সঠিকভাবে কাজ করতে পারে।
খালেদা জিয়ার নির্দিষ্ট চিকিৎসা পরিকল্পনা ও শারীরিক অবস্থার বিস্তারিত তথ্য তারা প্রকাশ করেননি।


