ঢাকা রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরবেন: বাবর

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৫, ০৭:১৪ পিএম
তারেক রহমান ও লুৎফুজ্জামান বাবর। ছবি- সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য দেন তিনি।

দীর্ঘ ১৯ বছর পর এদিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রবেশ করেন লুৎফুজ্জামান বাবর। বিএনপি–জামায়াত জোট সরকারের আমলে তিনি স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। বিকেল ৪টা ২২ মিনিটে মন্ত্রণালয়ে প্রবেশ করেন বাবর। এ সময় তার সঙ্গে কোনো বিএনপি নেতা বা কর্মীকে দেখা যায়নি।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস পান লুৎফুজ্জামান বাবরসহ পাঁচজন। বাবর ছাড়া খালাস পাওয়া অন্য চারজন হলেন রাষ্ট্রায়ত্ত চিটাগং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডের (সিইউএফএল) তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহসিন উদ্দিন তালুকদার, তৎকালীন মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) কেএম এনামুল হক, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব নুরুল আমিন।

এছাড়া বিচারিক আদালতের রায়ে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ১৪ জনের মধ্যে ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়াসহ পাঁচজনের সাজা কমানো হয়। রায়ে পরেশ বড়ুয়ার যাবজ্জীবন দণ্ড কমিয়ে ১৪ বছর করা হয়। অন্য চারজন জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সাবেক উপ-পরিচালক মেজর (অব.) লিয়াকত হোসেন, তৎকালীন মাঠ কর্মকর্তা আকবর হোসেন খান, তৎকালীন পরিচালক উইং কমান্ডার (অব.) সাহাব উদ্দিন আহাম্মদ ও হাফিজুর রহমানের সাজা কমিয়ে ১০ বছর করা হয়।

২০০৪ সালের ১ এপ্রিল চট্টগ্রামের সিইউএফএল ঘাট থেকে আটক করা হয় ১০ ট্রাক ভর্তি অস্ত্রের চালান। এ ঘটনায় কর্ণফুলী থানায় অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে লুৎফুজ্জামান বাবরকে ৭৮ দিন রিমান্ডে রাখা হয়েছিল।

২০০৭ সালের ২৮ মে তিনি আটক হন। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন মামলায় তার দণ্ড হয়। এর মধ্যে দুটি মামলায় তাকে মৃত্যুদণ্ড এবং একটিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তবে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এসব মামলার আপিল শুনানিতে একে একে খালাস পান বাবর। একই বছরের ২৩ অক্টোবর দুর্নীতির মামলায় আট বছরের দণ্ড থেকে খালাস পান তিনি। এরপর ১ ডিসেম্বর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায়ও খালাস দেওয়া হয় বাবরকে। ওই মামলায় বিচারিক আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল।