ঢাকা শনিবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৫

পিআর পদ্ধতিতে জনপ্রতিনিধির জবাবদিহিতা থাকবে না: ড. মঈন খান

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ১১, ২০২৫, ০৬:৫৯ পিএম
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। ছবি- সংগৃহীত

পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, ‘পিআর হচ্ছে ব্যক্তির যে অবস্থান সেটাকে দুর্বল করে দলের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করে দিচ্ছে অর্থাৎ মানুষ ভোট দিবে দলকে এবং দল নির্ধারণ করে দেবে কে প্রার্থী হবেন। তাহলে কি হচ্ছে? আমাদের যে মৌলিক চিন্তাধারা, জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবে এবং জনগণের প্রতিনিধিরা সরাসরি জনগণের কাছে জবাবদিহি করবে সেইটা তো তাহলে আর থাকছে না।’

শনিবার (১১ অক্টোবর) রাজধানীর মৌচাকে কসমস সেন্টারে ‘ইলেশন ২০২৬ : এ ক্রিটিকাল লুক এট প্রোপরশনাল রিপ্রেজেনটেশন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ড. মঈন খান বলেন, ‘দলকে শক্তিশালী করে দিতে আমরা জনপ্রতিনিধিকে দুর্বল করে দিয়ে সেখানে একটি দলকে যদি আমরা শক্তিশালী করে দেই তাহলে কিন্তু মানুষের যে সিস্টেমটা তৈরি হবে সেটাও কিন্তু একটা সেলফ কন্ট্রাডিকশন।’

‘সেলফ কন্ট্রাডিকশন এই কারণে যে মানুষ সাধারণ মানুষের যে প্রত্যাশা, সেটা হচ্ছে এই, দল যেন অতিরিক্ত শক্তিশালী না হয়, বিশেষ করে বাংলাদেশের যে রাজনৈতিক ইতিহাস আমরা বিগত ৫৪ বছরে দেখেছি। যখনই দল বেশি শক্তিশালী হয়ে গেছে তখনই কিন্তু জনগণের জন্য দুর্যোগ নেমে এসেছে’, যোগ করেন তিনি।

বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘আমি কেন পিআর চাচ্ছি? একটু যদি আমরা খোলাখুলি বলি, পিআরটা চাচ্ছি এই কারণে যে, আমি পার্লামেন্টে কিছু বেশি সিট (আসন) পাবো, এর বাইরে কিছু নাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন আমি পার্লামেন্টে অধিকতর ক্ষমতাবান হবো, অধিক সিট পাবো সেই কারণে মানুষের মৌলিক যে দাবি সেটাকে আমি অগ্রাহ্য করব? এটা তো গণতন্ত্রের ভাষা নয়। কাজেই সেই দিক থেকে এটা সেলফ কনট্রাডিক্টরি।’

‘আসুন, মানুষের কল্যাণে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করি, এখানে খোলা মন নিয়ে কাজ করতে হবে’, যোগ করেন তিনি।