বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, ৩৬ জুলাইয়ের আন্দোলন কোনো দল, ব্যক্তি বা বয়সভিত্তিক ফ্রেমে সীমাবদ্ধ ছিল না। এটি ছিল আপামর ছাত্র-জনতার ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য ও আত্মত্যাগের প্রতীক।
সোমবার (২৬ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
বিবৃতিতে জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের হাত ধরে আন্দোলনের সূচনা হলেও এই বিপ্লবের অংশীদার ছিলেন সব বয়স ও পেশার মানুষ। সাত মাসের শিশু থেকে শুরু করে নব্বই বছরের বৃদ্ধ- সবাই ছিলেন জুলাই বিপ্লবের সৈনিক।’
তিন বলেন, ‘আমাদের শিক্ষকরা পাশে দাঁড়িয়ে লড়াই করেছেন, বোনদের লাঞ্ছনার বিরুদ্ধে ভাইয়েরা বিক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন, ভাইদের নির্যাতনের প্রতিবাদে বোনেরাও ঘরে বসে থাকেননি।’
তিনি আরও বলেন, ‘শুধু শিক্ষার্থী নয়, সাংবাদিক, আইনজীবী, চালক, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও প্রবাসীরা পর্যন্ত নিজ নিজ জায়গা থেকে অবদান রেখেছেন। কেউ সংবাদ সংগ্রহে জীবন দিয়েছেন, কেউ হাসপাতাল পর্যন্ত আহতদের পৌঁছে দিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এমনকি রেমিট্যান্স যোদ্ধারাও এই আন্দোলনের পক্ষে সোচ্চার ভূমিকা রেখেছেন।’
শিবির সভাপতি বলেন, ‘এই আন্দোলনের প্রতিটি যোদ্ধার বুকে শাহাদাতের তামান্না ছিল। সেই আত্মত্যাগই এই বিপ্লবের শক্তির উৎস হয়ে উঠেছিল। আমাদের শহীদেরা আজও সাক্ষ্য দেয় এই আন্দোলন কোনো নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর নয়, এটি ছিল বৈষম্যহীন বাংলাদেশের স্বপ্নে উদ্বুদ্ধ সব মানুষের অভিন্ন সংগ্রাম।’
তিনি বলেন, ‘যখন ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে, তখন জাতি এক কাতারে দাঁড়ায়। আমরা ধর্ম, বর্ণ, বয়স কিংবা পেশার ভেদাভেদ ভুলে একসঙ্গে লড়েছি। এই ঐক্যই ৩৬ জুলাইয়ের প্রকৃত বার্তা।’
বিবৃতির শেষভাগে জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘৩৬ জুলাই আমাদের জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। কিছু ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর সাময়িক অবস্থান এ ঐক্য বিনষ্ট করতে পারবে না। আমরা তা হতে দেব না। সবাইকে আহ্বান জানাই, আপনার জুলাই স্মৃতি লিখুন, শেয়ার করুন। জুলাইকে সজীব করে তুলুন, জাতীয় ঐক্যকে আরও শক্তিশালী করুন।’
আপনার মতামত লিখুন :