ঢাকা মঙ্গলবার, ০৩ জুন, ২০২৫

‘আমরা যেন দ্রুতই আমাদের পূর্ণ অধিকার ফিরে পাই’

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ১, ২০২৫, ১১:০০ এএম
ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধনসংক্রান্ত হাইকোর্টের পূর্ববর্তী রায় বাতিল করায় সন্তোষ প্রকাশ করে দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, মহান রবের সাহায্য চাই, আমরা যেন দ্রুতই আমাদের পূর্ণ অধিকার ফিরে পাই।

রোববার (১ জুন) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ কথা বলেন তিনি।

স্ট্যাটাসে জামায়াতের আমির লিখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধনসংক্রান্ত হাইকোর্টের দেওয়া ন্যায়ভ্রষ্ট রায় আজ প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে চার সদস্যের বেঞ্চ বাতিল ঘোষণা করেছে।’

তিনি  লিখেন, ‘মহান রবের দরবারে নতশিরে শুকরিয়া আদায় করি আলহামদুলিল্লাহ, সুম্মা আলহামদুলিল্লাহ। পরবর্তী প্রক্রিয়া নির্বাচন কমিশনের সাথে সম্পৃক্ত। মহান রবের সাহায্য চাই, আমরা যেন দ্রুতই আমাদের পূর্ণ অধিকার ফিরে পাই। আমিন।’

উল্লেখ্য, রোববার (১ জুন) সকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের সমন্বয়ে আপিল বিভাগের বেঞ্চ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ফিরিয়ে দিতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে, গত ৭ মে আদালতে জামায়াতের নিবন্ধন মামলার দ্রুত শুনানির আবেদন করেন আইনজীবী শিশির মনির। তারই ধারাবাহিকতায় শুনানি শুরু হয় মঙ্গলবার।

গত বছরের ২২ অক্টোবর জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের বিরুদ্ধে করা খারিজ হওয়া আপিল পুনরুজ্জীবিত করার আদেশ দেন আপিল বিভাগ। এতে দলটি ফের আইনি লড়াইয়ের সুযোগ পায়। আদালতে জামায়াতের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এহসান এ. সিদ্দিকী এবং রিটকারীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড আলী আজম।

২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়। সেই রিট নিষ্পত্তি করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট হাইকোর্ট জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে। এরপর ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রজ্ঞাপন জারি করে দলটির নিবন্ধন বাতিল করে।

জামায়াত সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলেও ২০২৩ সালের নভেম্বরে প্রধান আইনজীবী আদালতে অনুপস্থিত থাকায় ‘ডিসমিস ফর ডিফল্ট’ বলে আপিল খারিজ করে আপিল বিভাগ। এতে হাইকোর্টের রায় বহাল থাকে এবং জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল বলে গণ্য হয়।

এদিকে ২০২৩ সালের ১ আগস্ট সরকার জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮(১) ধারায় প্রজ্ঞাপন জারি করে। তবে একই বছরের ২৮ আগস্ট সেই নিষেধাজ্ঞা বাতিল করে নতুন প্রজ্ঞাপন দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।