আমরা কোনো বিশেষ দল বা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নই, বরং সকল প্রকার অপরাধ ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে—এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
শনিবার (১২ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৫ টায় মিটফোর্ডে নির্মমভাবে ব্যবসায়ীকে হত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ-পরবর্তী সমাবেশে এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী উত্তর শাখার উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মসূচি রাজধানীর তেজগাঁও সাতরাস্তা থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে মগবাজারে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি নাজিম উদ্দীন মোল্লা, ডা. ফখরুদ্দীন মানিক, ইয়াছিন আরাফাত, হেদায়েত উল্লাহ, ইঞ্জিনিয়ার নোমান আহমেদি প্রমুখ।
ড. রেজাউল করিম বলেন, যারা নিজেদের কর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ, তাদেরকে এ দেশের শান্তিপ্রিয় জনগণ গ্রহণ করবে না, বরং তারা আগামী নির্বাচনে জনগণের দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ১৫ বছর ধরে অপশাসন ও দুঃশাসনের মাধ্যমে জনগণের ওপর জুলুম চালিয়ে ক্ষমতায় ছিল। তবে ছাত্র-ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের মুখে তাদেরকে লজ্জাজনকভাবে বিদায় নিতে হয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আজ যারা দিবাস্বপ্নে বিভোর হয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছে, তারা যদি ইতিহাস থেকে শিক্ষা না নেয়, তাহলে ১৫ মাসও টিকতে পারবে না। ২৮ অক্টোবরের পৈশাচিক হত্যাকাণ্ড ও হেলমেট বাহিনীর বর্বরতা জনগণ এখনো ভুলে যায়নি। আজ সেই হেলমেট বাহিনীর পরিবর্তে পাথর বাহিনী আবির্ভূত হয়েছে, যারা মিটফোর্ডে প্রকাশ্যে একজন ব্যবসায়ীকে হত্যা করেছে।
তিনি অবিলম্বে বর্বরতা বন্ধ, গণহত্যার বিচার, রাষ্ট্রীয় সংস্কার ও সকল দলের জন্য সমান সুযোগপূর্ণ একটি নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
ড. রেজাউল করিম বলেন, আবু সাঈদ-মুগ্ধের দেশে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, দখলদার, হেলমেট বা পাথর বাহিনীর কোনো স্থান নেই। জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
তিনি আরও বলেন, জনপ্রশাসন যদি অপরাধ দমনে ব্যর্থ হয়, তবে তাদের দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া উচিত। বিপ্লবীরা একটি গণবান্ধব প্রশাসন গড়ে তুলবে, যারা খুনি, চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে সক্ষম হবে।
সমাবেশ শেষে তিনি দলমত নির্বিশেষে সকলকে নতুন বাংলাদেশ গড়ার আন্দোলনে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান।