ঢাকা বুধবার, ১৬ জুলাই, ২০২৫

জাতীয় সমাবেশে ১০ লাখ কর্মীর অংশগ্রহণ টার্গেট জামায়াতের

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২৫, ০৮:২৮ পিএম
জামায়াতে ইসলামীর লোগো। ছবি- সংগৃহীত

আসন্ন ১৯ জুলাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত জাতীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ প্রস্তুতির ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটির দাবি, এই সমাবেশ হবে জামায়াতের ইতিহাসে সর্বোচ্চ উপস্থিতিমূলক গণজমায়েত, যেখানে অংশ নেবেন ১০ লাখের বেশি নেতাকর্মী।

এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ১০ হাজার বাস রিজার্ভ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।

তিনি জানান, এই সমাবেশ সফল করতে ট্রেন ও লঞ্চ ব্যবস্থাও থাকবে সক্রিয়। শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিয়োজিত থাকবে প্রায় ৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর মিন্টু রোডে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কার্যালয়ে এক বৈঠকে অংশ নেয় জামায়াতের সাত সদস্যের প্রতিনিধি দল। সেখানে পার্কিং, যানবাহন চলাচলের রুট, নিরাপত্তা ও মাঠ ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হয়। ডিএমপির পক্ষ থেকে তাদের পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে জানান জুবায়ের।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘১৯ জুলাইয়ের জাতীয় সমাবেশে শান্তিপূর্ণ ও শৃঙ্খলাভাবে সম্পন্ন করতেই আমরা পুলিশের সহযোগিতা চেয়েছি। আমাদের নেতাকর্মীরা সারা দেশ থেকে অংশ নেবেন। এ জন্য গাড়ি পার্কিং, সাউন্ড সিস্টেম, প্রবেশ ও প্রস্থান রুট—সবকিছু পরিকল্পিতভাবে সাজানো হচ্ছে। ডিএমপির পক্ষ থেকেও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ডিএমপিকে সমাবেশ কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের যোগাযোগ নম্বর দেওয়া হয়েছে। তারা যেকোনো প্রয়োজনে আমাদের সঙ্গে সমন্বয় করবেন।’

বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সম্ভাব্য নিরাপত্তা শঙ্কা সম্পর্কে জানতে চাইলে এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত কোনো আশঙ্কা করছি না। তবে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক। স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সবাই প্রস্তুত আছেন। পুলিশের সঙ্গেও এসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘সমাবেশে সিনিয়র নেতাদের চলাচল, স্বেচ্ছাসেবক দল, গেট ও সাউন্ড ব্যবস্থাসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকবে ছয় হাজার প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক।’

জুবায়ের জানান, শুধু বাস রিজার্ভই নয়, ট্রেন ও লঞ্চ ব্যবস্থাপনাও সমান্তরালভাবে চলবে। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি, এবার ইতিহাসের সর্বোচ্চ উপস্থিতি হবে। সারা দেশে অভাবনীয় সাড়া পাচ্ছি। অন্তত ১০ হাজার বাস আসবে ঢাকায়। সেই সঙ্গে ট্রেন ও নৌযান ব্যবস্থাও থাকবে প্রস্তুত।’

ডিএমপির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দলে ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিম, কেন্দ্রীয় মজলিসের শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মো. দেলাওয়ার হোসেন, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মোহাম্মদ কামাল হোসেন ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী প্রচার সম্পাদক আবদুস সাত্তার সুমন।

ডিএমপির পক্ষ থেকে সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইমস অ্যান্ড অপারেশন) নজরুল ইসলাম। এ ছাড়া সভায় উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম কমিশনার (অপারেশ) মো. শহীদুল্লাহ, উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) গৌতম কুমার বিশ্বাস, রমনা জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার মাসুদ আলম প্রমুখ।