বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনালের মাওলানা আব্দুল হালিম বলেছেন, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহন মূলক নির্বাচনরে জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া অংশগ্রহন মূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, জুলাই জাতীয় সনদের আইনি ভিত্তি, নির্বাচন এবং কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন জাতীয় জীবনে এখন মূখ্য দাবি।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘জুলাই সনদের বাস্তবায়ন, নির্বাচন ও কল্যাণ রাষ্ট্র’ গঠনের দাবিতে জাতীয় ঐক্য জোট কর্তৃক আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, কল্যাণ রাষ্ট্র হচ্ছে ঐ রাষ্ট্র যেই রাষ্ট্রের নাগরিকের মৌলিক অধিকার রাষ্ট্র কর্তৃক নিশ্চিত করা হয়।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী দুর্নীতিমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত, চাঁদাবাজমুক্ত বৈষম্যহীন কল্যাণ ও মানবিক রাষ্ট্র গঠনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জনগণ সুযোগ দিলে জামায়াতে ইসলামী জাতিকে একটি কল্যাণ ও মানবিক রাষ্ট্র উপহার দেবে। দুর্নীতিমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত, চাঁদাবাজমুক্ত রাষ্ট্র বিনির্মাণের জন্য দুর্নীতিমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত, চাঁদাবাজমুক্ত নেতৃত্বের প্রয়োজন। দুর্নীতিগ্রস্ত, সন্ত্রাস-চাঁদাবাজদের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব হবে না। তাই নতুন বাংলাদেশ গড়তে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে এগিয়ে আসতে তিনি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
অনতিবিলম্বে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে জামায়াত ইসলামীর এই নেতা বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ হচ্ছে রাজনৈতিক অঙ্গীকার। এই সনদ বাস্তবায়নে গড়িমসি না করে নভেম্বরের মধ্যে গণভোট দিয়ে জুলাই জাতীয় সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর, ঢাকা-৮ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, প্রশাসনে দলীয়করণ বন্ধ না হলে সর্বস্তরে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা যাবে না। ফলে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশও তৈরি হয়নি। এই পরিস্থিতিতে অংশগ্রহনমূলক নির্বাচনও সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জাতির সামনে বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করবেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা একটি দলের প্রতি অনুগত থাকায় অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহনমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য প্রশাসনে দলীয়করণ বন্ধ ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করে ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। তবে তার আগে নভেম্বরের মধ্যে গণভোটের সম্পন্ন করতে হবে। জুলাই সনদে স্বাক্ষর হলেও এখনো সরকার সনদ বাস্তবায়নের উপায় স্পষ্ট করেনি এবং আদেশ জারি করতে পারেনি। গড়িমসির কারণ জাতির সামনে স্পষ্ট করতে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
জাতীয় ঐক্য জোটের প্রধান সমন্বয়কারী আলহাজ্ব মাওলানা আলতাফ হোসাইন মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় ঐক্য জোটের কেন্দ্রীয় প্রধান সমন্বয়কারী প্যানেল সাখাওয়াত হোসেন সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জাতীয় নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, পেশাজীবি পরিষদের প্রতিনিধি ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।


