নতুন করে কাউকে স্বৈরাচার হতে দেবো না—এমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টায় ভোলা জেলা পরিষদ মোড়ে এক পথসভায় তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘শেখ হাসিনার আমলে লুটপাট আর দুর্নীতির উন্নয়ন হয়েছিল। আমরা জানতাম, স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলের উন্নয়নের জোয়ারে ভাসিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু আজ ভোলা ঘুরে দেখলাম, এই অঞ্চলে উন্নয়নের কোনো ছোঁয়া লাগেনি। উন্নয়ন হয়েছে শুধুমাত্র লুটপাট ও দুর্নীতির মাধ্যমে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভোলায় পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক সম্পদ থাকা সত্ত্বেও এই অঞ্চলকে উন্নয়নের ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। ভোলা-বরিশাল ব্রিজ এবং ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগ—এসব ভোলাবাসীর নৈতিক অধিকার, যা থেকে তাদের বঞ্চিত করেছে স্বৈরাচার সরকার।’
এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনে তরুণরা রাজপথে নেমে ফ্যাসিস্ট সরকারকে হটিয়ে শেখ হাসিনাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছিল। সেই চেতনায় আবার আমরা মাঠে নেমেছি, কারণ চাঁদাবাজ-মাফিয়া ও দুর্নীতিবাজরা আবার দেশের ওপর চেপে বসেছে। আমরা বলেছিলাম, চাঁদাবাজ এবং মাফিয়াবাজ যে সিস্টেম টিকিয়ে রাখে, সেই সিস্টেমের পতন চাই।’

তিনি বলেন, ‘কিন্তু আমরা দেখছি, সেই সিস্টেমকে আবারও টিকিয়ে রাখা হচ্ছে এবং চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিবাজকে প্রশ্রয় দিচ্ছে একটি শক্তি। গণহত্যার বিচার ও নতুন বাংলাদেশের জন্য আমরা সংস্কার চাই। সংস্কার ছাড়া আমরা কখনোই নতুন বাংলাদেশ পাব না। কোনো স্বৈরতন্ত্রকে বাংলাদেশে আর ফেরত আসতে দেবো না। নতুন করে কাউকে স্বৈরাচার হতে দেবো না।’
পথসভায় বক্তারা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী তরুণদের সংগ্রামের কথা তুলে ধরেন এবং রাজনৈতিক ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। তারা বলেন, দেশে একটি নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তুলতে এনসিপি জনগণের সঙ্গে আছে এবং থাকবে।
পথসভা শেষে জুলাই আন্দোলনের শহিদ পরিবার ও আহতদের খোঁজখবর নেন নেতারা।
এনসিপির দাবি, এই পদযাত্রা শুধু একটি কর্মসূচি নয়, বরং একটি প্রতীক, যা দেশের রাজনীতিতে নতুন ধারার আগমনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
পথসভায় উপস্থিত ছিলেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, সিনিয়র যুগ্ম-সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম-মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
আপনার মতামত লিখুন :